ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সেবা সপ্তাহে সেবা পাচ্ছে না

দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার রেলের যাত্রী

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ১৯ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ২০:৩৮, ১৯ নভেম্বর ২০২২

দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার রেলের যাত্রী

কমলাপুর রেল স্টেশনের শহরতলী প্লাটফর্মের প্রবেশ পথে পুরাতন গাড়ী, ময়লা-আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রি রেখে অপরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে।

  • টিকেট ও ট্রেন অপেক্ষার শেষ নাই আন্তঃনগর যাত্রীদের
  • ময়লা আবর্জনায় একাকার অবস্থা শহরতলী প্লাটফর্মে
  • অতিরিক্ত বোঝাই, গাদাগাদি করে যাতায়াত করে লোকাল যাত্রীরা
  •   ১০০ টাকার নিচে কোন ট্রলি পাওয়া যায় না কমলাপুরে

রেলওয়ের ১৬০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারাদেশে পালিত হচ্ছে যাত্রী সেবা সপ্তাহ। কিন্তু সেবা পাওয়ার পরিবর্তে উল্টো দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রেলের যাত্রীরা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেনের যাত্রীদের। এছাড়া দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করেও নির্ধারিত সময় ট্রেন যাতায়াত করতে পারেন না বলে অভিযোগ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীদের। 

এছাড়া কমলাপুর রেল স্টেশনের শহরতলী প্লাটফর্মের প্রবেশ পথে পুরাতন গাড়ী, ময়লা-আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রি রেখে অপরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হয় না এটা কোন দেশের প্রধান রেলস্টেশন। গত বুধবার সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের আন্তঃনগর ও শহরতলী প্লাটফর্ম ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।  

যাত্রীরা জানান, রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ কেন, কোন সময় রেল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রকৃত সেবা পাওয়া যায় না। টিকেট কাঁটতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ট্রেনের অপেক্ষা, অতিরিক্ত বোঝাই ও টিকেট বিক্রয়ের অব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। 

তবে রেল কর্তৃপক্ষের দাবী জনবল সংকটের কারণে যাত্রীদের প্রকৃত সেবা দেয়া সম্ভব্য হচ্ছে না। কিন্তু সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ১৫-২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম ও ট্রেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ট্রেনে সরবরাহকৃত খাবারের মান নিশ্চিতকরতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা, স্টেশন প্লাটফর্ম ও স্টেশনে অবস্থিত দোকানসমূহ এবং চলন্ত ট্রেনে ধূমপান ও তামাক বিরোধী বিশেষ অভিযানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান।
 
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জনকণ্ঠ’কে বলেন, ‘প্রতিটি কাউন্টারে তিন ধাপে দায়িত্ব পালনের জন্য ৯০ জন বুকিং সহকারী দরকার। কিন্তু আছে মাত্র ৫১ জন। এ থেকে তথ্যকেন্দ্রে ১ জন দায়িত্ব পালন করে। তথ্যকেন্দ্র কোন জনবল নেই। এভাবে বিভিন্ন পদে জনবল সংকট রয়েছে। কম জনবল দিয়েই যাত্রীদের সেবা দেয়ার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। তবে রেলওয়ের লোক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই জনবল সংকট কিছু দূর হবে বলে জানান তিনি।

আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই
সব চেয়ে বাজে অবস্থা ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসতে ৬ ঘন্টার স্থলে ৯-১০ ঘন্টা লাগে বলে জানান যাত্রীরা। কাছের দূরুত্বে টিঁকেট না পেয়ে বেশি টাকায় বেশি দুরুত্বের টিকেট কাঁটতে হয়। মালপত্র বহনের জন্য ফ্রি’তে ট্রলি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও ১০০ টাকার নিচে কোন ট্রলি পাওয়া যায় না। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে টিকেট বিক্রয়ের জন্য ২০ টি কাউন্টারের মধ্যে বেশীর ভাগেই বন্ধ থাকে বলে যাত্রীরা জানান। প্রতিদিন ৬-৮টি কাউন্টারে এক সাথে আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউন্টার ট্রেনের টিকেট বিক্রয়ের কারণে তৈরী হয় দীর্ঘ লাইন। এতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও টিকেট না পেয়ে ফিরে যেতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।

এ বিষয়ে গত বুধবার কমলাপুর স্টেশনে নূরুল হক নামের নোয়াখালীর এক যাত্রী জনকন্ঠ’কে বলেন, ‘রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ কেন? কোন সময় প্রকৃত রেলসেবা আমরা পাই না। টিকেট কাঁটতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ২০ কাউন্টারের মধ্যে বেশীর ভাগ বন্ধ রাখে। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচল করে উপকূল এক্সপ্রেস। আন্তঃনগর যত ট্রেন আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে এই ট্রেনটি। ট্রেনে ভিতরে নেই পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা। টয়লেট থাকলেও থাকে না পাত্র। বগির (কোচের) ভিতরে নেই লাইট ও পাখা। লাইট ও পাখা থাকে নষ্ট। একটি বগিতে ৬০ টি সিট থাকলে দাঁড়িয়ে নেয়া হয় এর দ্বিগুণ। তাই গাদাগাদি করে ট্রেন যাতায়াত করতে হয়। দাঁড়িয়ে থাকা বেশীর ভাগ যাত্রীই টিকেট ছাড়া যাতায়াত করে।’ রেলওয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তারা নিজের লাভের জন্য যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে জানান। 

বেশীর ভাগ কাউন্টার থাকে বন্ধ
সরেজমিনে গত বুধবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, টিকেট বিক্রয়ের ২০টি কাউন্টারের মধ্যে ৪-৫টি কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের ভীড় বেশী। এর মধ্যে ১-৪ ও ৭-১৯ নাম্বার কাউন্টারে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সকল টিকেট বিক্রয় করা হয়। এছাড়া ৫ কাউন্টারে সকল ট্রেনের রিফান্ড, রিটার্ণ ও ফরওয়াডিং টিকেট; ৬ নাম্বার কাউন্টারে অনলাইনের টিকেট ও ২০ নাম্বার কাউন্টারে প্লাটফর্মের টিকেট বিক্রয় হয়। কিন্তু আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রয়ের ১৭ টি কাউন্টারের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১৮, ১৯ ও ২০ নাম্বার কাউন্টার বেশীর ভাগ সময় বন্ধ থাকে। ৫-৬ টি কাউন্টারে এক সাথে সব ট্রেনের টিকেট দেয়ার কারণে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয় বলে যাত্রীরা জানান।

আশরাফুল ইসলাম নামের স্লিকসিটি এক্সপ্রেসের রাজশাহীর এক যাত্রী জনকণ্ঠ’কে বলেন, ‘২০ মিনিটের মধ্যে আমার ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। আধ ঘন্টা যাবত টিকেটের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সামনের লাইন শেষ হয় না। এটা প্রতিদিনের সমস্যা। ঈদের সময় সব কাউন্টারে খুলে। অন্যান্য সময় বেশীর ভাগ কাউন্টার বন্ধ থাকে। তাই এক কাউন্টারের সামনে সব যাত্রী ভীড় করে। এতে অনেক সময় চলে যায়।’ টিকেট কাঁটতেই অনেকেই ট্রেন মিস করে বলে জানান তিনি।      

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জনকণ্ঠ’কে বলেন, কমলাপুর স্টেশনে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা টিকেট কাউন্টার খোলা থাকে। প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে কাজ করে বুকিং সহকারীরা। এর মধ্যে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত, দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। আবার রাত ৮ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত কাউন্টার খোলা থাকে। এভাবে রাত ২ টা থেকে সকাল ৮ টা কাউন্টার খোলা থাকে। এজন্য কিছু কাউন্টার বন্ধ রেখে অন্য কাউন্টারে খোলা রাখা হয়। তবে ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশী থাকলে সব কাউন্টার এক সাথে খোলা থাকে বলে জানান তিনি।

দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গি লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রতিদিন ১৪ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করে। আগে যেখানে ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করতো। করোনার পরে এক জোড়া ট্রেন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৫ টায়, সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে, সকাল সাড়ে ৮ টায়, সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে, দুপুর পৌনে ২ টায়, দুপুর সাড়ে ৩ টায়, বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে, সন্ধ্যা ৬ টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে লোকাল ট্রেন ছেড়ে যায়।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টায়, সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে, সকাল পৌনে ১০ টায়, দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটে, দুপুর ৩ টায়, বিকেল পৌনে ৫ টায়, সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে ও রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে লোকাল ট্রেন ছেড়ে আসে। ঢাকা-নারায়গঞ্জ রুটে আসা-যাওয়া পথে চাষাড়া, ফতুল্লা, পাগলা, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এই ৫টি স্টেশনে যাত্রী উঠা-নামানো করা হয়। ৪০ মিনিটের স্থানে প্রতিটি ট্রেন গন্তব্যে পৌছাতে সময় নিচ্ছে ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে প্রচুর যাত্রী হলেও কোচ সংকটের কারণে গাদাগাদি করে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।

জানা গেছে, ১৮৮৪ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১৩৮ বছর পরও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে সেবার মান বাড়েনি। বরং আরও কমানো হয়েছে। প্রতিদিন চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী ও ছাত্রসহ কয়েক হাজার মানুষ এ রুটে যাতায়াত করেন। কিন্তু রেলের ভাঙ্গা সিট, কোচের স্বল্পতা, পর্যাপ্ত আলোর অভাব, ফ্যান ও পয়ঃব্যবস্থাপনা না থাকা, মহিলা বগিতে কম সংখ্যক আসন, পুরাতন লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ এবং নিয়মিত লাইন মেরামত না করায় প্রতিদিন যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে রয়েছে সিডিউল বিপর্যয়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে যাত্রীরা জানান। 

এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতে শহরতলী প্লাটফর্মে ব্যবহার করে যাত্রীরা। কিন্তু এই প্লাটফর্মের প্রবেশ ময়লা-আবর্জনা ফেলে একাকার অবস্থা। প্লাটফর্মের সামনের খোলা জায়গায় পুরাতন লক্করঝক্কর গাড়ী রেখে স্থানটি গ্যারেজে পরিণত করা হয়ছে বলে যাত্রীরা জানান।

এ বিষয়ে সুমন নামের নারায়ণগঞ্জের এক যাত্রী জনকণ্ঠ’কে বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের রেলপথে যাতায়াত করে। কিন্তু এই রুটটি সরকার গুরুত্ব দিচ্ছি না। ট্রেন সংকট তো আছে। এছাড়া সময় মত টিকেট পাওয়া যায় না। প্রতিদিন ৯ বার আসা-যাওয়ার করার কথা। কিন্তু দেখা যায় ট্রেন নষ্টের কারণে দুই-একবার বন্ধ থাকে। এছাড়া একটি ডেমু ট্রেন চলে এই রুটে। এই ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের অনেক সমস্যা হয়। বৃদ্ধ মহিলা ও শিশুরা ট্রেনে যাতায়াত করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ অতিরিক্ত যাত্রীরা কারণে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয় বলে জানান। 

রেল সূত্র জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে স্টেশন রয়েছে ৬ টি। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় স্টেশন, চাষাঢ়া স্টেশন, ফতুল্লা স্টেশন, পাগলা স্টেশন, গেন্ডারিয়া স্টেশন ও ঢাকা স্টেশন। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় স্টেশনে স্টেশন মাস্টার ৪ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেখানে স্টেশন মাস্টার আছেন ২ জন, চাষাঢ়া স্টেশনে ৩ জনের পরিবর্তে ১ জন, ফতুল্লা স্টেশনে ৩ জনের পরিবর্তে ১ জন, গেন্ডারিয়া স্টেশনে ৩ জনের পরিবর্তে আছেন ২ জন। প্রিম্যান বা পয়েন্টস ম্যান রয়েছেন ৬ জনের পরিবর্তে ২ জন, বুকিং সহকারী ৩ জনের পরিবর্তে ১ জন এবং অফিস সহকারী ৩ জনের পরিবর্তে ১ জন।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জনকণ্ঠ’কে বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে জনবল সংকটের কারণে অনেক স্টেশনে লোক দেয়া সম্ভব্য হয় না। শহরতলী প্লাটফর্মে দুইটি টিকেট কাউন্টার। কিন্তু লোকবল না থাকার কারণে একটি কাউন্টার বন্ধ রাখতে হয়। কোচ সংকটের কারণে এক জোড়া ট্রেন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে বলে জানান তিনি।

 

সম্পর্কিত বিষয়:

×