রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন
যাত্রীদের সহযোগিতা ছাড়া রেলের কালোবাজারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তাই ই-টিকেটিং নিয়ে যারা কালোবাজারি করছে তাদের কাছ থেকে টিকেট না নিয়ে ধরিয়ে দিতে বলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রেল সেবা সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেলসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন তিনি। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও চকলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান ও রেলওয়ের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেল দিবসকে সামনে রেখে আমরা রেল সপ্তাহ পালন করছি। একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্য নিয়েই ২০১১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এর আগে রেল কর্মকর্তারা রেল ব্যবস্থাকে যেন ধ্বংস না করা হয় তার জন্য অবস্থান নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে রেলের নতুন নতুন লাইন বাড়ানো হয়েছে। যমুনা সেতুতে রেল সেতু যুক্ত করা হয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের রেল সেবা বাড়াতে কাজ করছি। রেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যাত্রীসেবা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমাদের টিকিটিং ব্যবস্থায় কালোবাজারি ছিল। সেগুলো আমরা পরিপূর্ণভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তবে উদ্যোগ নিয়েছি। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’- আমরা সে ব্যবস্থা চালু করছি। প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করছি। আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যেতে পারবো, সে ব্যবস্থাও করছি। রেলের সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটা নষ্ট করবেন না। শুধু রেলের কর্মকর্তারা এটি রক্ষা করতে পারবে না। আপনাদেও এগিয়ে আসতে হবে।
আকাশ