ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রতিবেশী দেশের চাইতে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের বাজেট কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ১৪ নভেম্বর ২০২২

প্রতিবেশী দেশের চাইতে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের বাজেট কম

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের বাজেট তুলনামূলক কম। তিনি বলেন, আমরা যে পরিমাণ বাজেট ব্যয় করি, অনেক দেশের জন্যই ঈর্ষণীয়। তবে, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বরাদ্দ কম। এরপরও এই খাতে আমাদের সফলতা অনেক।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের চেয়ে ভারত, এমনকি মালদ্বীপের বরাদ্দও বেশি। তবে, আমরা যেটি দিচ্ছি, সেটিও একেবারে কম নয়। স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান ব্যয় একটা সময়ে আমাদের মোট উন্নয়ন বাজেটের চেয়ে বেশি। তবুও আমরা বলি তুলনামূলক ভাবে আমরা কম ব্যয় করছি।

তিনি বলেন, আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে, শিশু-মাতৃ মৃত্যু হার কমে এসেছে। এবিষয়গুলো আরও বেশি নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যের বিষয়ে খুবই আগ্রহী। তিনি চান, প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের কাছে যেন আমরা বেশি যাই। বেশি করে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবকিছুতেই আমরা ঊর্ধ্বগামীতার দিকেই যাচ্ছি। 

ডায়াবেটিস প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, আমি নিজেও ডায়াবেটিস রোগী, এ রোগ সম্পর্কে যতটুকু জানি আতঙ্কের কিছু নেই। তবে, সচেতনতাটা খুবই জরুরি। আমি ইন্টারনেটে প্রচুর ডায়াবেটিস নিয়ে ডাক্তারদের ভিডিও দেখি। অন্যান্য রোগের চেয়ে ডায়াবেটিসকে আমার কাছে জটিল মনে হয়। এটা নিয়ে আগ্রহ সারা বিশ্বব্যাপী। আমি নিজে আক্রান্ত তাই খোঁজখবর রাখি।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, অসংখ্য মানুষ এখনও সচেতন নয়। ভাতের ওপরই নেশা ছিল, অন্যান্য খাবার কম থাকায় ভাতটা খেয়েই আমরা অভ্যস্ত। লেবার যারা আছেন, তাদেরকে তাৎক্ষণিক শক্তি ভাতই দেয়। আমারও ভাতের জন্য আক্ষেপ হয়। ভালো ভালো খাবার চোখের সামনে দিয়ে যায়, খেতে পারি না। আমার আফসোস। তবে হয়তো কিছুদিন বেশি আয়ু পেয়েছি। এটি যদি আমার ত্যাগের কারণে হয়, তাহলে সেটি খুবই আনন্দের।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমার জীবদ্দশায়, প্রধানমন্ত্রীর জীবদ্দশায় দেশের গড় আয়ু ৭৫-৭৬ নিয়ে যেতে চাই। এটা কঠিন নয়। আমরা চাইলে এটিকে ৮০ বছরেও নিয়ে যেতে পারি। আমরা সার্বিকভাবে দেশের একটা অগ্রগতি চাই। 

এর আগে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী প্রমুখ।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×