
সোহেল তাজ
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, এক অর্থে আমরা জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও পাইনি। এখন এই বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো, একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তবে সেই তদন্ত কমিশন হতে হবে সর্বজন গৃহীত। যাতে করে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বরের মতো হত্যাকাণ্ড আর যেনো দেশের মাটিতে না ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর চকবাজার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা উল্লেখ করে সোহেল তাজ বলেন, এক কোটি শরণার্থীকে সামলানো, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রসজ্জিত করা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যারা আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে দিয়েছেন ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধুর সেই ঘনিষ্ঠ চার সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো! বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মাত্র তিন মাসের মাথায়! অবশ্যই এই দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাথা।
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয় বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিরা বিদেশে পলাতক রয়েছে। আমাদের দাবি এই ১০ খুনিকে ফেরত আনতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবরা আছেন। তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। এ জন্য সংসদ ও এর বাইরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিসেম্বর মাসে একটি কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক, দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।
কামরুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন বলেন, এই বিচার পেতে আমদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিচার ২০১৫ সালেও শেষ হয়। আমার মা দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি এই বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে তিনি এই বিচার দেখে গিয়েছেন। যদিও তিনি রায় শুনে গেছেন, তবে বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি।
এসআর