ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

যাত্রাবাড়ীতে দুই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা 

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২২

যাত্রাবাড়ীতে দুই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা 

ম্যাপে যাত্রাবাড়ী

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরা হলো পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর ওয়াসা রোডের মুনিরা আক্তার (১০) ও মাতুয়াইলের হাফসা আক্তার জেরিন (১৬)।

রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী ওয়াসা রোড ১৫২/২ নম্বর বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় মুনিরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় মৃত ঘোষণা করেন তাকে।

শিশুটির বাবার নাম মোসলেউদ্দিন। যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে মুনিরা। ১ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার ছোট।

শিশুটির বাবা মুসলেউদ্দিন জানান, রাতের খাবার খেতে ডাক দিলে মুনিরা একটু দেড়ি করছিল। তাই তিনি সামান্য বকা দেন। এরপর সবাই খাবার খেতে বসলেও মুনিরা খাবার টেবিলে না আসায় তাকে খুঁজতে গিয়ে কোথাও না পেয়ে পরে দেখেন টয়লেটের দরজা বন্ধ। সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে দেখেন মুনিরা গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সে খুব জেদি এবং অভিমানী ছিল বলে জানান স্বজনরা।

এদিকে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাতুয়াইলের বাসা থেকে হাফসা আক্তার জেরিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেরিন পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার হেমায়েত উদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে মাতুয়াইল ডিএনডি রোডের নানা বাড়িতে মা সহ থাকতো। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে জেরিন ২য়।

জেরিনের মা শাহানা সুলতানা শিল্পী জানান, জেরিনের বাবা অনেক বছর আগেই তাদের রেখে অন্যত্র চলে গেছেন। এরপর থেকে মাতুয়াইল তাদের নানার বাসায় থাকেন। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত জেরিন। পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ফলাফল খারাপ হওয়ায় দুপুরে বড় বোন তাকে বকাঝকা করে। বিকালে জেরিনের বড় বোন টিউশনি করতে যান। জেরিন ও তার দুই ভাইকে ঘরে রেখে কাজে চলে যান মা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন একটি রুমে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রেখেছে জেরিন। দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে সে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য ঘটনা দুটি জানানো হয়েছে।

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×