লালবাগ থানা
মাথায় আঘাতের চিহ্ন। মাথা ফেটে ঝর ঝর করে রক্ত ঝরছিল। পুরো শরীর বেয়ে ঘরের মেঝেতেও ছড়িয়েছে রক্ত। টানাহেচড়ার কারণে মেঝের বিভিন্ন স্থানে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ তখনো লেগে আছে। ডান চোখে কিল-ঘুষির জখম। পুরো চোখ ফোলা। পিঠের দুই পাশে কালছে জখম, রক্তের জমাট বাঁধা।
এটি গৃহকর্মী সাজেদা বেগমের (৪৬) মরদেহের ক্ষতবিক্ষত অবস্থার চিত্র। গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর লালবাগ থানাধীন চায়না বিল্ডিং গলির ১২১ নং বাড়ির ৫-ডি নং বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লালবাগ থানা পুলিশ। সাজেদা তিন মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মিজানুর রহমান ও নুরুন্নাহার বিথী দম্পতির সংসারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেন। ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে লালবাগ থানা পুলিশের একটি টিম ওই বাসায় গিয়ে সাজেদার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ যখন ওই বাসায় যায়, তখনো সাজেদার মাথা বেয়ে তাজা রক্ত ঝরছিল। ওসি নিজেও ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর আগে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।
লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্তা দত্ত অমা সুরতহাল প্রতিবেদনেও সাজেদা বেগমের ‘মাথায় আঘাতের চিহ্ন, এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া, আঘাতের ফলে ডান চোখ ফোলা, পিঠের দুই পাশে কালছে জখম ও রক্তের জমাট বাঁধা’ এমনটি উল্লেখ করেছিলেন। লালবাগ থানা পুলিশও তখন ঘটনাটিকে হত্যাকান্ড বলেছিল। কিন্তু ঘটনার একদিন পর এই ‘হত্যা’ হয়ে গেলো ‘আত্মহত্যা’! এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথীর বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগ এনে নিহতের পরিবারের মামলা নেয় লালবাগ থানা পুলিশ। এমনকি মামলা দায়েরের ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাদীকে দেয়া হয়নি মামলার কপি। ঘটনার পর চারজনকে আটক করে থানায় নিলেও শুধুমাত্র গৃহকর্ত্রীকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথী। হত্যার ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নেয়া, মামলায় মাত্র একজনকে আসামি করা- এসবের নেপথ্যে রয়েছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এম এম মুর্শেদ, এমনটি অভিযোগ করেছেন খুনের শিকার সাজেদার পরিবার।
তবে পুলিশ বলছে, মামলা যে ধারায়ই নেয়া হোক না কেন, তা তদন্তে প্রভাব পড়বে না। তদন্তে ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি উঠে আসলে তখন ধারা পরিবর্তন করা হবে।
নিহত সাজেদা বেগমের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দলীয়কান্দা গ্রামে। দরিদ্রতার কশাঘাতে কিশোরী বয়সে চলে আসেন ঢাকায়। লালমাটিয়া এক বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেন। ওই বাসাতেই দীর্ঘ ১০ বছর কাজ করার পর গ্রামে গিয়ে বিয়ে করে সংসার পাতেন। এক মেয়ে সন্তান রয়েছে তার। কিন্তু তার কপালে সুখ বেশি দিন টিকেনি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সাজেদার। এরপর ছোট ভাই তারা মিয়ার অভাব-অনটনের সংসারে জায়গা হয় তার। কিন্তু ছোট ভাইর নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাই গত ৩ মাস আগে আবারো চলে আসেন ঢাকায়। এসে এলাকার পরিচিত এক মহিলার মাধ্যমে আইনজীবী মিজানুর রহমান ও নুরুন্নাহার বিথী দম্পতির সংসারে ৫ হাজার টাকা বেতনের মৌখিক চুক্তিতে গৃহকর্মীর চাকরি নেন। কিন্তু কারণে-অকারণে এবং সামান্য কিছু হলেই তাকে নির্যাতন করত গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথী। কিল-ঘুষি, লাথি মারত, হাতের কাছে যা থাকত, তাই সাজেদাকে ছুড়ে মারত বিথী।
নিহত সাজেদার ভাই তারা মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, কাজ নেয়ার পর গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী আমার বোনকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিত না। মাঝে মধ্যে অন্য সদস্যদের ফোন দিয়ে আমাকে কল করত। তখন বলত, গৃহকর্ত্রী তাকে মারধর করে, নির্যাতন করে। তাকে যেন ওই বাসা থেকে নিয়ে যাই। কিন্তু তাকে আনতে গেলে গৃহকর্ত্রী টালবাহানা করে। ঘটনার ৪/৫ দিন আগেও সাজেদা আমাকে কল করে জানায়, গৃহতর্ত্রীর অত্যাচার ও নির্যাতন আর সহ্য করা যাচ্ছে না। যেকোন ভাবেই হোক তাকে যেন সেখান থেকে নিয়ে যাই। পরে গৃহকর্ত্রী ও যে মহিলার মাধ্যমে সাজেদা কাজ নিয়েছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার জানায়, চলতি মাস শেষ হলে বেতন-বোনাস দিয়ে একেবারে বিদায় দিয়ে দিবো। কিন্তু ৫ তারিখ দুপুরে ২টার দিকে গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার আমাকে কল করে জানায়, আমার বোন সাজেদা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমন খবরে আমরা ঢাকায় এসে মর্গে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পাই।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাদী তারা মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ এজাহার লিখে দিয়ে সেটাতে টিপ সই দিতে বলে। মামলার কপিও আমাদের দেয়নি। আমরা বোনের লাশ নিয়ে গ্রামে চলে আসি। আমার মামাতো ভাই জিয়াউল হক ঢাকায় থাকে। তাকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই ফাইয়াজ হোসেনকে মামলার কপি মামাতো ভাই জিয়াউল হকের কাছে দিতে বলেছি। কিন্তু দেয়নি।
জিয়াউল হককেও মামলার কপি দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই ফাইয়াজ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, মামলা নেয়ার দায়িত্ব তার নয়। থানা থেকে মামলার তদন্তভার তাকে দেয়া হয়েছে। তবে কোর্টের নির্দেশে গত সপ্তাহে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিবি লালবাগ বিভাগকে। কিন্তু নির্দেশের পরও মামলাটি ডিবিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। তদন্তভার পাওয়ার পর গ্রেফতার গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথীকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেনি।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, গৃহকর্ত্রীর স্বামী মিজানুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তাই তার স্ত্রীকে যাতে পুলিশ রিমান্ডে নিতে না পারে, তিনি সেই ব্যবস্থাই করেছেন। মিজানুর রহমান ইতোমধ্যে নিহত সাজেদার মামাতো ভাইর সঙ্গে উত্তরায় দেখা করে মামলা তুলে নিতে এবং বিষয়টি আপোষ করে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সাজেদার পরিবার।
বাদী তারা মিয়া বলেন, আমার বোন সাজেদাকে গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথী গ্লাাস দিয়ে মাথায় আঘাত করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করার ফলে সাজেদা মারা যায়। পরে গৃহকর্ত্রী, তার ননদ, ননদের জামাই ও গাড়ির ড্রাইভারে মিলে সাজেদার মরদেহ ডাইনিংয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে সবাই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে কৌশল খাটিয়ে ৯৯৯ এর মাধ্যমে লালবাগ থানা পুলিশকে জানায়। তারা জানায়, তাদের কেউ বাসায় ছিল না। বাসায় এসে দেখে, সাজেদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটা তাদের নাটক।
৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাজেদার লাশ উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুইজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, এটা কোনভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। এটা তো ক্লিয়ার মার্ডার। তারা গিয়ে দেখেন, মেইন দরজা খুলতেই ডাইনিং। সেখানকার ফ্যানের সঙ্গে একটি ওড়না ঝুলছে। আর সাজেদার গলায় ঘর পরিষ্কার করার একটি পুরোনো কাপড় পেঁচানো। ওই কাপড়টি ছিল পুরুষের গায়ের গেঞ্জি। যেটার নিচের অংশ কেঁটে ঘর পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হত। পাশের ডাইনিং টেবিলে কাচের গ্লাস ভাঙা। ভাঙা গ্লাসের অবশিষ্টাংশ এদিকে-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তার মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্ন, যেখান থেকে অনবরত রক্ত বের হতে দেখা গেছে।
নিহতের পরিবারও বলছে, গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার এককভাবে সাজেদাকে হত্যা করলেও তার একার পক্ষে সাজেদার লাশ ঝুলানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের অন্য সদস্যদের সহায়তায়ই সে লাশটি ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ পুলিশ শুধু সাজেদাকে মামলার আসামি করেছে। ঘটনার পর নুরুন্নাহার ছাড়াও তার ননদ, ননদের জামাই ও গাড়ি চালককে আটক করলেও তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
ঘটনার পরপরই সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারাও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। সাজেদার মরদেহের ছবি তুলে রাখেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আত্মহত্যা করলে চন্দ্রাকৃতি থাকে, শিরদাঁড়ার দিকে হাড় ভেঙে যায়। এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। কিন্তু সাজেদার ক্ষেত্রে এগুলো তেমন ছিল না। আত্মহত্যা করলে গলায় যেভাবে বা যে পাশে দাগ হওয়ার কথা, সাজেদার বেলায় তেমনটি পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এম এম মুর্শেদ জনকণ্ঠকে বলেন, গৃহকর্ত্রীর কিছু কথা-বার্তার রেকর্ড পাওয়া গেছে। যা থেকে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের তথ্য পাওয়া গেছে। নির্যাতনের কারণে গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছে। গৃহকর্মী সাজেদার শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তারপরও এটি হত্যা মামলা না হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হয় কিভাবে? এর উত্তরে ওসি বলেন, সাজেদার মাথায় আঘাত করার কথা গৃহকর্ত্রী স্বীকার করেনি। আত্মহত্যা করলে কিছু লক্ষণও থাকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই এটি যে আত্মহত্যা, সেটি নিশ্চিত হলেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, লাশ উদ্ধারের পর আমরা কোনভাবেই মিলাতে পারছিলাম না যে, গায়ে আঘাত থাকবে কেন, জখম হবে কেন। পরে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি নেয়া হয়। সব নিয়ম মেনেই মামলাটি নেয়া হয়েছে এবং মামলাটি ঠিক আছে বলেও দাবি তার। এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা আসতে পারে বলেও ধারণা তার। সেটি আগাম কিভাবে বলছেন? উত্তরে ওসি বলেন, না, তেমনটা নয়। আসতে পারে না, অনেক সময় আসে তো!
নিহত সাজেদার স্বজনরা জানান, গত শনিবার সাজেদার এক আত্মীয়ের কাছে যান গৃহকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি তাদের বলেন, আমি উকিল ধরে স্ত্রীর জামিন করাতে পারি। কিন্তু এতে হয়তো আমার ৫০ হাজার টাকা যাবে। তাই আমি চাচ্ছি, টাকা টা সাজেদার পরিবারকে দিতে। পরে স্ত্রীর জামিন হলে আরো ১ লাখ টাকা দেয়া হবে। তবে এমন প্রস্তাবে তারা রাজি না হওয়ায় মিজানুর তাদের জানান, তাহলে আমি মামলা চালিয়ে যাবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও সাজেদা যে আত্মহত্যা করেছে, তা আসবে। লালবাগ বিভাগের ডিসি আমার বন্ধু। তিনি নিশ্চয় আমাকে সহায়তা করবেন।
মিজানুর রহমানের এমন কথায় সাজেদার স্বজনদের আশঙ্কা আইনজীবী মিজানুর রহমান অর্থ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘুরিয়ে ফেলবেন। তবে এসব বিষয়ে জানতে গত বুধবার চয়না বিল্ডিং গলি গৃহকর্তা মিজানুর রহমানে বাসায় গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার শ্বশুর মুরাদ আলী মিজানুরের ফোন নম্বর দিতেও রাজি হননি।
সাজেদার মৃত্যুর খবরে ৬ অক্টোবর যখন স্বজনরা ঢাকায় ছুটে আসেন। তখন তাদের উপস্থিতিতে গৃহকর্তা মিজানুর, তার বোন, বোনের জামাই ও গাড়ি চালককে আটক করে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তাদের নেয়া হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে রফাদফা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ। তারা বলছেন, ডিসি একবার হত্যা মামলা দিতে বলেছেন। আবার সেটা বাদ দিতে বলেছেন ওসিকে। এভাবে তিনবার মামলা লিখে তা আবার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। রাত ৮টার দিকে গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহারকে একমাত্র গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন ডিসি। পরে ওসি সেভাবেই কাজ করেন। এসময় স্বজনদের মধ্যে একজন সাজেদার লাশের ছবি তোলেন। ওসি সেটা ডিলিট করতে বাধ্য করেন। এমনকি তাদের জামায়াত-বিএনপি বলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। পরে তারা বিষয়টি চেপে যান।
ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের উধ্বর্তন এক কর্মকর্তা বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা নেয়ার বিষয়টি তার নজরে আসার পর তিনি মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করতে বলেন। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে।
এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ জাফর হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, মামলা রুজু হলেও এখানো তো তদন্ত শেষ হয়নি। একটা ধারাতে মামলা হওয়া মানে এই নয় যে, তদন্তে অন্যটা আসবে না। এটা হত্যা, নাকি আত্মহত্যা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। দেখার বিষয়, তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে কি দেয়া হয়েছে, অভিযোগপত্র ঠিকভাবে দেয়া হয়েছে কিনা। তাহলে একটা সুনির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্য ধারায় মামলা নেয়া ভুল নয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসি বলেন, সেটা যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে সেই ধারায় মামলা হয়। চুরি নিশ্চিত হওয়া গেলে চুরি মামলা, ডাকাতি নিশ্চিত হওয়া গেলে ডাকাতি মামলা হয়। সাজেদা যে আত্মহত্যা করেছে, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বের হওয়ার আগে নিশ্চিত হওয়া গেলো কিভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তে ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা আসলে তখন ধারা পরিবর্তন করা হবে। সেই সুযোগ তো আছে। তবে এই মামলার বিষয়ে তিনি অবগত বলেও জানান।