শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ
সম্প্রতি ফুলার রোড কার্যালয়ে ‘প্রেজেন্টেশন অব ফাইন্ডিংস অ্যান্ড রিকোমেন্ডেশন অ্যান্ড ওয়ার্কশপ: এক্সাম্পলস অব হেলথ পার্টনারশিপ অ্যান্ড হেলথ প্রফেশনাল এডুকেশন’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
গবেষণাটি ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার ট্রপিক্যাল হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ও আইআরডি গ্লোবালের সহযোগিতায় এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
এ গবেষণায় দেশের স্বাস্থ্যখাতে আরও পেশাদারিত্বের সুযোগ তৈরি এবং তা উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা; পাশাপাশি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
গবেষকদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষার পরিধি সম্পর্কে জানতে ডকুমেন্ট, সাক্ষাৎকার এবং পর্যবেক্ষণগুলো যাচাই করে দেখা। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য-বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা, পাশাপাশি সীমাবদ্ধতা ও সুবিধাগুলো চিহ্নিত করা।
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক জোট গঠনের জন্য অনুষ্ঠানে বক্তারা উচ্চশিক্ষা ও অংশীদারিত্ব, রিসোর্স ও তহবিল তৈরি, নার্সদের জন্য জনসমর্থন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্বাস্থ্য-বিষয়ক পেশাদারিত্বের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব এডুকেশন ডেভিড মেনার্ড। এছাড়াও, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করার জন্য বক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “আমাদের নার্সদের প্রশিক্ষণের সুবিধা নিয়ে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের অনুরোধের ফলেই এ গবেষণাটি করা হয়েছে।
এ ধরণের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা তাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারবো। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের বাইরে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও এগিয়ে নিতে পারবেন। এটি আমাদের সামগ্রিক চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থায় একটি চমৎকার সংযোজন। এ রকম অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে আমরা যুক্তরাজ্যের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করতে আগ্রহী।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, “সবসময় উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ তৈরিতে এবং সুযোগের সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের পাশে থেকেছে যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত ও চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইআরডি, সিআইপিআরবি’র মতো অংশীদার ও সহযোগীদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের এনএইচএস, হেলথ ইংল্যান্ড, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার, এফসিডিও হেলথ টিম এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল সহযোগিতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন তৈরি করেছে।
এই গবেষণাটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে পরিকল্পনায় সহায়তা করবে এবং স্বাস্থ্য-বিষয়ক যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।”
এমএস