ঢাকা নগর পরিবহন
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে দুটি পদ্ধতিতে ভাগ করে কাজ করছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো সিটি সার্ভিস বা আরবান ট্রান্সপোর্ট। অপরটি হলো ঢাকার আশপাশের জেলার (আরএসটিপির রুট) বাসগুলোকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটটি ক্লাস্টারে (শ্রেণীর) ২২ টি কোম্পানির মাধ্যমে ৪২টি রুটে ঢাকা নগর পরিবহন বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হবে।
এছাড়া মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এ সব জেলার বাস সার্ভিসকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩টি মাদার কোম্পানির মাধ্যমে এ সব জেলার সার্ভিসকে পরিচালনা করা হবে। আন্তঃজেলার সকল বাস ঢাকার বাইরে ৪টি বাস টার্মিনালে থামবে। সেখান থেকে সাব আরবান ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ঢাকা প্রবেশ করবে।
ঢাকায় সিটি টার্মিনাল থাকবে আটটি। সাব আরবান ট্রান্সপোর্টের বাসগুলো এ সব সিটি টার্মিনালে প্রবেশ করবে। সিটি টার্মিনাল থেকে আরবান ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে নিদিষ্ট গন্তব্যে ভ্রমণ করবেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে রাজধানীর ২৯১ রুট কমিয়ে ৪২ রুটে এনে তা বাস্তবায়নের কাজ করছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি।
গত বছর ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত সবুজ রঙের (গ্রীন ক্লাস্টার) ঢাকা নগর পরিবহন বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক চালু হওয়া সবুজ রঙের এই বাসে ভ্রমণে যাত্রীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়া নতুন করে ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর রুটে ঢাকা নগর পরিবহন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি।
আগামী ১৩ অক্টোবর সবুজ রঙের ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে নতুন বাস দিয়ে ঢাকা নগর পরিবহন সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া সবুজ রঙে ২৩ নম্বর রুটটি আগামী ৩০ নবেম্বর চালু হবে। ঢাকায় আটটি রুটে চলবে এই সবুজ রঙের বাস। চার রুটে পরীক্ষামূলক চালু হলেও আরও চারটি রুট বাকি থাকবে বলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)’র কর্মকর্তারা জানান।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ড. এস এম সালেহ উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে দুটি পদ্ধিতে ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এই সব প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে আমাদের পরামর্শকরা। মূলত ঢাকা ও পার্শ^বর্তী জেলার বাস রুট নিয়ে কাজ করছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ২৯১ রুট কমিয়ে ৪২ রুটে আনা হবে।
এসব রুটে ২৫শ’ বাস মালিকের সমন্বয়ে ২২টি কোম্পানির অধীনে চলাচল করবে। মাদার কোম্পানি থাকবে ৬টি। এর মধ্যে সিটি সার্ভিসে ৬টি ও সিটির বাইরে থাকবে ৩টি কোম্পানি। সিটি ও সিটির বাইরে বাস টার্মিনালের জন্য ১২টি বাস টার্মিনালের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাসের রং ও রুট ॥ আরবান ট্রান্সপোর্টে চলবে ৬ রঙের বাস। গোলাপি রঙের বাস : এ রঙের ৮৮৩টি বাস পরিবহন ১ থেকে ৪ নম্বর রুটে চলাচল করবে। বর্তমানের ২৯১টি রুটের মধ্যে ২৩টি রুটকে ভেঙ্গে এই চারটি রুট করা হয়েছে। ১ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-মহাখালী-নাবিস্কো-মগবাজার-কাকরাইল-সায়েদাবাগ/ সদরঘাট। ২ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-মহাখালী-ফার্মগেট-শাহবাগ-পল্টন-সায়েদাবাদ/ কেরানীগঞ্জ জেলখানা/ ঝিলমিল।
৩ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রেলগেট-মৌচাক-কাকরাইল-গোলাপশাহ মাজার-সদরঘাট/ঝিলমিল। ৪ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-বেড়িবাঁধ, মাজার রোড-গাবতলী-শিকদার মেডিক্যাল-কামরাঙ্গীরচর-বাবু বাজার।
নীল রঙের বাস ॥ নীল রঙের ১ হাজার ৪৩৩টি বাস ৫ থেকে ৮ নম্বর রুটে চলাচল করবে। পুরনো ২১টি রুট ভেঙ্গে এই চারটি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ৫ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-নতুনবাজার-বাড্ডা-মৌচাক-কাকরাইল-মৎস্য ভবন-শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাব-আজিমপুর। ৬ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-মহাখালী-বিজয় সরণি-মানিক মিয়া এভিনিউ-সোবহানবাগ-সায়েন্স ল্যাব-আজিমপুর। ৭ নম্বর রুট : আব্দুল্লাহপুর-কুড়িল-ফ্লাইওভার-ইসিবি চত্বর-কালশি-মিরপুর ১০-মিরপুর ১-টেকনিক্যাল-গাবতলী- হেমায়েতপুর। ৮ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর-গাবতলী-শ্যামলী-শিশু মেলা-আগারগাঁও-বিজয় সরণি-মহাখালী-বনানী-শেওড়াপাড়া-কুড়িল-আব্দুল্লাহপুর।
মেরুন রঙের বাস ॥ এ রঙের ১ হাজার ১০৮টি বাস ৯ থেকে ১৩নং রুটে চলবে। পুরনো ৩৫টি রুট ভেঙ্গে এই ৫টি রুট করা হয়েছে। ৯ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর, গাবতলী, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, সাইনবোর্ড। ১০ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর, গাবতলী, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, সায়েদাবাদ/ সাইনবোর্ড/ধলেশ্বর/কাঁচপুর। ১১ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর-গাবতলী-মতিঝিল/ফুলবাড়িয়া/কাঁচপুর/নারায়ণগঞ্জ। ১২ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদ গেট, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল/সদরঘাট। ১৩ নম্বর রুট : হেমায়েতপুর-গাবতলী-টেকনিক্যাল-শ্যামলী-আগারগাঁও-বিজয় সরণি-মহাখালী-গুলশান ১-বাড্ডা-রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার।
কমলা রঙের বাস ॥ এ রঙের ১ হাজার ১২২টি বাস ১৪ থেকে ২০ নম্বর রুটে চলবে। পুরনো ৪৭টি রুট ভেঙ্গে সাতটি রুট করা হয়েছে। ১৪ নম্বর রুট : মিরপুর চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদগেট, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুর, ফুলবাড়িয়া, তাঁতিবাজার, বাবুবাজার, কেরানীগঞ্জ, বান্দুরা। ১৫ নম্বর রুট : মিরপুর ১২, মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গোলাপশাহ মাজার, তাঁতিবাজার, রায়সাহেব বাজার, সদরঘাট।
১৬ নম্বর রুট : মিরপুর-১৪, মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, কমলাপুর, শাপলাচত্বর, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা। ১৭ নম্বর রুট : গাবতলী/ মিরপুর-১, কালশি-জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার-কুড়িল ফ্লাইওভার-নতুনবাজার/বেরাইদ-বাড্ডা-রামপুরা ব্রিজ-বনশ্রী-স্টাফ কোয়ার্টার। ১৮ নম্বর : মিরপুর-১২, ১০-শেওড়াপাড়া-ফার্মগেট-বাংলামোটর- শাহবাগ-পল্টন-গুলিস্তান-শাপলা চত্বর-কমলাপুর-টিটিপাড়া- বাসাবো-খিলগাঁও তালতলা।
১৯ নম্বর রুট : মিরপুর চিড়িয়াখানা- মিরপুর-১-টেকনিক্যাল- শ্যামলী-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-পল্টন-গুলিস্তান-শাপলা চত্বর-কমলাপুর-টিটিপাড়া-খিলগাঁও-তালতলা। ২০ নম্বর রুট : মিরপুর-১২/ইসিবি চত্বর-মিরপুর-১০-কাজিপাড়া- শেওড়াপাড়া-আগারগাঁও-মানিক মিয়া এভিনিউ-সোবহানবাগ-সায়েন্স ল্যাব-নিউমার্কেট-আজিমপুর।
সবুজ রঙের বাস ॥ এ রঙের ১ হাজার ৪৩৩টি বাস ২১ থেকে ২৮ নম্বর রুটে চলবে। পুরনো ৫৪টি রুট ভেঙ্গে এই ৮টি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ২১ নম্বর রুট : বসিলা-ট্রাক স্ট্যান্ড-শঙ্কর-জিগাতলা- সায়েন্স ল্যাব-মৎস্যভবন-কাকরাইল-শাপলা চত্বর-হানিফ ফ্লাইওভার-সাইনবোর্ড-নারায়ণগঞ্জ। ২২ নম্বর রুট : ঘাটারচর-বসিলা-ট্রাকস্ট্যান্ড-আসাদগেট-ফার্মগেট-শাহবাগ-পল্টন-গুলিস্তান-মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার-মৃধাবাড়ি-ব্রিজ-রূপসী-ভুলতা।
২৩ নম্বর রুট : ঘাটারচর-বসিলা-ট্রাকস্ট্যান্ড-আসাদ গেট-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-পল্টন শাপলা চত্বর-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-সাইনবোর্ড-চট্টগ্রাম রোড-মেঘনা ঘাট। ২৪ নম্বর রুট : ঘাটারচর-বসিলা-ট্রাকস্ট্যান্ড-জাপান গার্ডেন সিটি-শ্যামলী-শিশুমেলা-আগারগাঁও-কাজিপাড়া-কালশি-জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার-আব্দুল্লাহপুর। ২৫ নম্বর রুট : ঘাটারচর-বসিলা-ট্রাকস্ট্যান্ড-টাউন হল-আসাদ গেট-মানিক মিয়া এভিনিউ-বিজয় সরণি-মহাখালী-কাকলী-কুড়িল-আব্দুল্লাহপুর। ২৬ নম্বর রুট : ঘাটারচর-বসিলা-ট্রাকস্ট্যান্ড-টাউন হল-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-কাকরাইল-শাপলা চত্বর-দয়াগঞ্জ-পোস্তগোলা-নারায়ণগঞ্জ।
২৭ নম্বর রুট : ঘাটারচর-শিয়া মসজিদ-শ্যামলী-আগারগাঁও-বিজয় সরণি-মহাখালী-গুলশান-১-রামপুরা ব্রিজ-বনশ্রী-স্টাফ কোয়ার্টার। ২৮ নম্বর রুট : ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-জিগাতলা-সায়েন্স ল্যাব-শাহবাগ-মৎস্য ভবন-কাকরাইল-মৌচাক-খিলগাঁও-তালতলা/স্টাফ কোয়ার্টার।
বেগুনি রঙের বাস ॥ এ রঙের ১ হাজার ৮৯টি বাস ২৯ থেকে ৩৪ নম্বর রুটে চলবে। পুরনো ৩৩টি রুট ভেঙ্গে এই ছয়টি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ২৯ নম্বর রুট : কাঁচপুর-যাত্রাবাড়ী-বাসাবো-মালিবাগ-নতুনবাজার-কুড়িল-বিমানবন্দর-আব্দুল্লাহপুর। ৩০ নম্বর রুট : ডেমরা-কোনাপাড়া-মৃধাবাড়ি-সায়েদাবাদ-মতিঝিল-ফকিরাপুল-মগবাজার-সাত রাস্তা-মহাখালী-বনানী-শেওড়া-আব্দুল্লাহপুর। রুট নং ৩১: কাঁচপুর-যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান-পল্টন-শাহবাগ-ফার্মগেট-শেওড়াপাড়া-মিরপুর ১০-ভাসানটেক।
রুট নং ৩২: ডেমরা ঘাট-কোনাপাড়া -মৃধাবাড়ি-সায়েদাবাদ-জয়কালী মন্দির-ইত্তেফাক-শাপলা চত্বর-শাহবাগ-ফার্মগেট -আসাদ গেট-শ্যামলী- টেকনিক্যাল-মিরপুর ১-মিরপুর চিড়িয়াখানা। রুট নং ৩৩ : নারায়ণগঞ্জ/জুরাইন-যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান-পল্টন-কাকরাইল-মগবাজার-সাত রাস্তা-মহাখালী-কাকলী-জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার-কালশি-মিরপুর-১০, মিরপুর-১-মিরপুর দিয়াবাড়ি। রুট নং ৩৪: সাইনবোর্ড-যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান-পল্টন-শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাব-আসাদ গেট-শ্যামলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-১-মিরপুর-১০-মিরপুর -১২।
সাব আরবান ট্রান্সপোর্ট ॥ নর্থ এই অংশের ১ হাজার ৮৯টি বাস ৩৫-৩৭ নং রুটে চলবে। পুরনো ৪০টি রুট ভেঙ্গে এই তিনটি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ৩৫ নম্বর রুট : শ্রীপুর-কাপাসিয়া-গাজীপুর-মৌচাক- কোনাবাড়ি-গাজীপুর চৌরাস্তা-আব্দুল্লাহপুর। ৩৬ নম্বর রুট : ঘোড়াশাল-কালীগঞ্জ-মীরেরবাজার-আব্দুল্লাহপুর। ৩৭ নম্বর রুট: কালিয়াকৈর- চন্দ্রা-আশুলিয়া-দোহার-আব্দুল্লাহপুর।
নর্থ-ওয়েস্ট ॥ এই অংশে ৯৯২টি বাস ৩৮ থেকে ৪০ নং রুটে চলাচল করবে। পুরনো ৩০টি রুট ভেঙ্গে এই তিনটি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ৩৮ নম্বর রুট : নন্দনপার্ক-ইপিজেড-বাইপাইল-ফ্যান্টাসি কিংডম-আশুলিয়া-দোহার- বেড়িবাঁধ-মাজার রোড-মিরপুর। ৩৯ নম্বর রুট : চন্দ্রা-নন্দন পার্ক-ইপিজেড-বাইপাইল-নবীনগর-সাভার-হেমায়েতপুর। ৪০ নম্বর রুট : পাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ-কালামপুর-ধামরাই-নবীনগর-সাভার-হেমায়েতপুর।
সাউথ ॥ এই পরিবহনটি ৪১ ও ৪২নং রুটে চলবে। এতে পরিবহনের সংখ্যা থাকবে ৯৯টি। পুরনো ৫টি রুট ভেঙ্গে এই দুটি রুট করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- ৪১ নম্বর রুট : ঝিলমিল-রুহিতপুর-নবাবগঞ্জ-দোহার-বান্দুরা-হরিরামপুর। ৪২ নম্বর রুট : হরিরামপুর-শ্রীনগর-মাওয়া- লৌহজং।