নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগী
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্দেশনা পালন না করলে তাদেরও ওপরেও আইন প্রয়োগে পিছ পা না হবে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ হুঁশিয়ারি দেন।
আলমগীর বলেন, ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকা আমাদের নজরে আসছে, নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলছেন না অনেকেই। এটি আমরা মোটেও মেনে নিতে রাজি নই। যদি কেউ এ ধরনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে থাকেন তাহলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তা যদি ওনারা করতে ব্যর্থ হন, আর তার কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে আসে; তাহলে আইন প্রয়োগ করতে পিছ পা হবো না।
তিনি জানান, নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে যে আইন আছে, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্যও বিধি ও আইন রয়েছে। ডিসি-এসপিরা ব্যর্থ হলে সে আইন প্রয়োগের কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
রাজনৈতিক দলের লোকেরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের উদ্দেশে ইসি কী বলবে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে সরাসরি কথা বলবো। সেখানে এই মেসেজ দেওয়া হবে কঠোরভাবে; যে সে যেই হোক না কেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হোক, ভোটারই হোক, প্রার্থী হোক বা অন্য কোনো- যেই হোক তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন এবং কোনোক্রমেই যেন আচরণ বিধি ভঙ্গের ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নেবেন।
নির্বাচনের আচরণ বিধি না, শুধু কর্মকর্তাদের জন্য আইন রয়েছে। যদি দেখা যায় যে কোনো কর্মকর্তা কোনো নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করছেন বা অবহেলা করছেন, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, যোগ করেন আলমগীর।
জাতীয় পার্টি সংসদের হুইপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইসি আলমগীর বলেন, এটা ওনারা দিয়ে গিয়েছে। আমরা নির্দেশ দিয়েছি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের কাছে। রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।
আইন অনুযায়ী কথা কতজন শুনছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। হয়তো দুই চারটি জেলা পরিষদ থেকে এমন অভিযোগ আসতে পারে। অবশিষ্টগুলো থেকে অভিযোগ আসেনি বা হয়নি। আপনাদের মিডিয়াতেও আসেনি। তার মানে হলো, তারা অবশ্যই শুনছে।
আমাদের দেশে মাননীয় সংসদ সদস্য ৩০০ জন। ৩০০ জনই এমন করছেন না হয়তো দুই, চার, পাঁচ জন এমন করছেন। আমরা নির্দেশ দিয়েছি যদি আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে দ্রুত এলাকা ছাড়াতে হবে। তিনি এলাকাতে থাকতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের প্রতি আবেদন হচ্ছে, তারা তো দেশ চালায়। তারা মানতে আরও বাধ্য। আমরা যেটা বলবো সাংবিধানিকভাবে সেটা মানা তাদের দায়িত্ব। এছাড়া সরকারি দল হিসেবে মানতে বাধ্য। সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বার্তা দিয়েছি। আমরা আশাকরি, আপনার দলীয় নেতাকর্মীদের যেন আচরণ বিধি লঙ্ঘন না করে সে বার্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জানিয়েছি।
এমএস