ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

চোখের জলে বিসর্জন দেবী দুর্গাকে

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ৫ অক্টোবর ২০২২

চোখের জলে বিসর্জন দেবী দুর্গাকে

দেবী দুর্গা

চোখের জলে বিসর্জন দিল দেবী দুর্গাকে। বিসর্জনের এ বিষাদে জড়ো হয়েছেন ভক্ত, পূজারী, পর্যটক, দর্শনার্থীসহ হাজারও মানুষ। সমকণ্ঠে ‘জয়, দুর্গা মায়ের জয়’ বলতে বলতে প্রতিমা বিসর্জনে এগিয়ে যান তারা। এ সময় অনেকে শেষবার প্রণাম করেন দুর্গাকে। কেউবা মনের আশা পূরণে গুঁজে দেন চিরকুট।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। সারাদেশের মতো রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গার পারে দেখা যায় এ মিলনমেলা।

‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে মা দুর্গা এক বছরের জন্য ফিরে যান ‘কৈলাসের শ্বশুরালয়ে’। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হলো বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ ‘শারদীয় দুর্গাপূজা।’ 

পুরোহিতদের মতে, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হয় দেবী দুর্গার। এ ছাড়া নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহানবমীর বিহিত পূজা হয় মঙ্গলবার।

এর আগে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হয় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে।

সনাতনী শাস্ত্র মতে এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টি হবে, কিন্তু শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে নৌকায় চড়ে স্বর্গে বিদায় নেবেন, ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।

এ বছর সারাদেশের ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর সারাদেশের পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি; যা গত বছরের থেকে ৫০টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে মণ্ডপের সংখ্যা ২৪১টি; যা গত বছরের থেকে ছয়টি বেশি।

সন্ধ্যা-আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচ দিনব্যাপী সব আয়োজন।

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×