ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ফুটপাতে বছরে ২১৬০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ১৩:০২, ৪ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৩:০৫, ৪ অক্টোবর ২০২২

ফুটপাতে বছরে ২১৬০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি

চাঁদাবাজি প্রতীকী ছবি

ঢাকার রাস্তায় তিন লাখ হকার ধরে হিসাব করলে বছরে চাঁদা ওঠে দুই হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ফুটপাথে বসতে একজন হকারকে এলাকাভেদে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা করে লাইনম্যানদের দিতে হয়। দৈনিক গড়ে ২০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হলেও এর পরিমাণ দাঁড়ায় বছরে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এই অঙ্ক ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মোট বাজেটের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এবং রাজস্ব বাজেটের চেয়ে বেশি। এর পুরোটাই চলে যাচ্ছে চাঁদাবাজ ও নিয়ন্ত্রকদের পকেটে। হকাররা দিন এনে দিন খেতে না পারলেও এদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার টাকায় আয়েশি জীবনযাপন করছে চাঁদাবাজ ও নিয়ন্ত্রকরা। তাদের কাছে রাজধানীর ফুটপাথ যেন টাকা বানানোর মেশিন।   

রাজধানীর কোন এলাকার ফুটপাথ থেকে দৈনিক কি পরিমাণে চাঁদা তোলা হয়, হকারদের কাছ থেকে কে কীভাবে এই চাঁদা তোলে, চাঁদার ভাগ কার কার পকেটে যাচ্ছে সবকিছুই উঠে এসেছে জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে। ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানা কমিটির রাজনৈতিক নেতা, লাইনম্যান, থানা ও ফাঁড়ির কনস্টেবল থেকে শুরু করে অফিসার ইন চার্জ এমনকি পুলিশের কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তার দৈনিক ও সাপ্তাহিক চুক্তিতে চাঁদার ভাগ নেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। ফুটপাথ হাঁটার উপযোগী করতে সরকার বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ অভিযান চালালেও এ সকল চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কারণে তা পারছে না। সকালে অভিযান পরিচালনা করলে বিকেলে ফের ফুটপাথে বসছে হকাররা। ফলে কোনভাবেই পথচারীদের হাঁটার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা যাচ্ছে না রাজধানীর ফুটপাথ।   

রাজধানীর ফুটপাথে কত সংখ্যক হকার আছেন, এর সঠিক তথ্য জানা যায়নি। দুই সিটি কর্পোরেশনসহ কোন সংস্থার কাছেই হকারদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে একটি জরিপ করা হয়। তাতে ২ লাখ হকার রয়েছে বলে সেই জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই জরিপে রাজধানীর মূল পয়েন্টে বসা হকারদের গণনা করা হয়েছিল। অলিগলিতে ও ছোটখাটো ফুটপাথে বসা হকারদের জরিপের আওতায় আনা হয়নি। 

অন্যদিকে, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ‘নগর পরিস্থিতি ২০১৬: ঢাকা মহানগরে যানজট-শাসন-ব্যবস্থা’ নামে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় হকারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। তবে রাজধানীর ফুটপাথে, অলিগলিতে ও ছোটখাটো ফুটপাথে বসা হকারদেরও হিসাব করলে ঢাকার রাস্তায় হকারের সংখ্যা হবে ৩ লাখেরও বেশি। 

বিআইজিডি’র প্রতিবেদনে ফুটপাথে বছরে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ৬ বছরের মাথায় রাজধানীতে হকারের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি চাঁদার সংখ্যাও বেড়ে ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ৪ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। বাজেটে ১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে ডিএসসিসি। উত্তর সিটি কর্পোরেশনও এর কাছাকাছি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ দুই সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার কোটি টাকারও কম। আর ফুটপাথে বছরে চাঁদাবাজি হয় ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে দুই সিটি কর্পোরেশনের বাজেটের রাজস্ব আদায়েরও বেশি চাঁদা ওঠে ফুটপাথ থেকে।    

নগরবিদ, হকার্স সমিতির নেতা, সড়ক নিরাপদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুটপাথের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে ও ফুটপাথ হাঁটার উপযোগী করতে হলে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটি সময়সাপেক্ষ হলেও হকারদের পরিসংখ্যান করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের লাইন্সেস দেয়া যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের পর লাইন্সেসের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। এতে হকাররা নিজ থেকেই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। লাইন্সেসের জন্য তাদের কাছ থেকে নামকাওয়াস্তে ফি নিলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট জায়গায় হকারদের বসার ব্যবস্থা করলে ফুটপাথও হকারমুক্ত হবে। দুই সিটি কর্পোরেশনও হকারদের বিষয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাচ্ছে না। ফলে যে যার মতো ফুটপাথে বসছে, আর যে যার মতো এদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গুলিস্তান, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় ৪৫টির মতো ফুটপাথে ডিএসসিসি তালিকাভুক্ত হকার আছেন ২ হাজার ৫০২ জন। তবে এই সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হবে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দৈনিক ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। চাঁদার হার গড়ে ২০০ টাকা করে হলে ৪৫টি ফুটপাথ থেকে দিনে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। গুলিস্তানের অলিগলিতে গড়ে ওঠা প্রায় ১৫টি ইউনিটের নেতা, লাইনম্যান এই চাঁদা তোলে। ওখানকার চাঁদার ভাগ এই ১৫টি ইউনিটের নেতা, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার বিভাগের কয়েকজন স্টাফ পেয়ে থাকে।   

নিউমার্কেট এলাকায় ডিএসসিসি’র তালিকাভুক্ত হকার রয়েছেন ৭ হাজার ৬০০ জন। বাস্তবে এই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। কয়েক মাস আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ফুটপাথে হকারদের বসতে দেয়া হয়নি। বর্তমানে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসেন হকাররা। এতে ছোট ছোট পসরার ভ্রাম্যমাণ দোকানিকে ১০০ টাকা আর টেবিল কিংবা চৌকি বসানো হকারদের সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। দোকানপ্রতি গড়ে ২০০ টাকা করে চাঁদা তুললে ১০ হাজার হকারের কাছ থেকে দৈনিক প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এখানকার চাঁদার ভাগও প্রভাবশালী নেতা, থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যের পকেটে যায়। 

ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় হকার রয়েছেন প্রায় ৬ হাজার। এদের কাছ থেকেও দৈনিক প্রায় ১২ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। শুধু গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকার প্রায় ৩১ হাজার হকারের কাছ থেকে দৈনিক ৬২ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, শ্যামলী, বৃহত্তম মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাথে ও অলিগলিতে বসা হকারদের কাছ থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। হকাররা সরকারী জায়গায় বসলেও চাঁদা দিতে হচ্ছে ব্যক্তিকে। যা সরকারের রাজস্বে জমা হচ্ছে না। দলীয় ও প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি অবৈধ এই আয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। এসব ফুটপাথে বসা হকারদের কাছ থেকে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির নেতা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশ ও ফাঁড়ির ইন চার্জ থেকে শুরু করে কনস্টেবলেরও দৈনিক ও সাপ্তাহিক চুক্তিতে চাঁদার বড় একটি ভাগ নেয়ার তথ্য উঠে এসেছে।  

এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, ফুটপাথে বসা হকারদের অর্থনৈতিক একটা বিষয় রয়েছে। তবে মূল সড়কে যেন বসতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। হকারদের কাছ থেকে পুলিশ চাঁদা নিয়ে থাকলে সেটি মোটেও ঠিক নয়। যে সকল পুলিশ সদস্য চাঁদা নিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

৪ বছর আগে হকার পুনর্বাসনে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছিল ডিএসসিসি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাথ থেকে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসনের জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ডিএসসিসি। প্রকল্পের আওতায় হকারদের বিদেশ পাঠানো, কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেয়া, ব্যবসার জন্য মোবাইল ভ্যান সরবরাহ, হকার রেজিস্ট্রেশন করা, আইডি কার্ড দেয়া, হলিডে মার্কেট স্থাপন ও সহজ সুবিধায় ব্যাংকঋণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। 

হকার উচ্ছেদে ডিএসসিসি অভিযান চালানোর পাশাপাশি ফুটপাথকে হকারমুক্ত রাখতে নিয়োগ দেয়া হয় স্বেচ্ছাসেবক। উচ্ছেদের তীব্র বিরোধিতার পর হকাররা নিজেদের পুনর্বাসনের দাবিতে দফায় দফায় সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন। পরে হকারদের বিদেশ পাঠানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা ডিএসসিসি বললেও প্রায় ৪ বছরে কোন উদ্যোগই দৃশ্যমান হয়নি। তবে সম্প্রতি ডিএসসিসি’র আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের সড়ক দখলমুক্ত করতে ও পথচারীদের হাঁটার উপযোগী করতে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা হিসেবে চিহ্নিতের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ডিএসসিসি। এর মধ্যে যেসব সড়ক লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেসব সড়কে কিংবা ফুটপাথে কোন হকার বসতে দেয়া হচ্ছে না। হলুদ চিহ্নিত সড়কে ফুটপাথের প্রশস্ততা অনুযায়ী আংশিক জায়গায় হকার বসতে দেয়া হবে। সেটা শুক্রবার বসবে। এ ছাড়া ভিআইপি মুভমেন্টের সময় বসতে দেয়া হবে না। আর সবুজ চিহ্নিত সড়কে হকাররা সব সময়ই বসতে পারবেন। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যে আমরা তিন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। যাত্রাবাড়ী থানার সামনের সড়ক, গুলিস্তান জিপিও মোড়সহ ওখানকার অনেক অংশ, আব্দুল গনি রোড, নিউমার্কেটের কিছু অংশসহ বেশ কয়েকটি সড়ক লাল চিহ্নিত এলাকায় পড়েছে। বছরব্যাপী এই অভিযান চলবে। রাজধানীর ফুটপাথ হকারমুক্ত করতে ও হাঁটার উপযোগী করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলেছেন হকার্স সংগঠনের নেতারা ও নিরাপদ সড়ক বিশেষজ্ঞরা। 

বুয়েটের এ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ফুটপাথকে হাঁটার উপযোগী করতে হলে প্রথমত, হকারদের পরিসংখ্যান করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের লাইসেন্স দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। এতে হকাররা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। লাইসেন্সের  জন্য তাদের কাছ থেকে নামকাওয়াস্তে একটা ফি নিলেও এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। দ্বিতীয়ত, এলাকাভিত্তিক ব্যবস্থা করা। একটা নির্দিষ্ট/উন্মুক্ত জায়গায় হকাররা বসবেন, সবাই কম খরচে কেনাকাটা করতে সেখানে যাবেন। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ থাকতে হবে। 

বাংলাদেশ হকার্স লীগের সভাপতি এমএ আবুল কাশেম জনকণ্ঠকে বলেন, হকাররা ফুটপাথে বসার কারণে পথচারীদের হাঁটতে অবশ্যই সমস্যা হচ্ছে। তবে এদের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসালে এই সমস্যার সমাধান অনেকাংশে কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রীও হকারদের উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। তার মতে, সরকার চাইলে হকারদের থেকে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারে। এদের আইডি কার্ড সিস্টেম করে সিটি কর্পোরেশন খাজনা নিতে পারে। এতে পুলিশ ও লাইনম্যানধারী চাঁদাবাজদের চাঁদা নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর এসব চাঁদাবাজকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ফজলুর রহমান

×