সফর শেষে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওয়াশিংটনের ডালাস বিমানবন্দর থেকে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ওয়াশিংটনের রাষ্টদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা। পরদিন সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এর আগে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন।
২৩ সেপ্টম্বর বিকেলে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতার প্রভাব এবং অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে আসুন সবাই একসঙ্গে একটি শান্তিময় পৃথিবী গড়ি। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনাই সঙ্কট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায়।
তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার রক্তক্ষয়ি সংঘাতের অবসান চাই। সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান না করে শান্তি বজায় রাখা যায় না। একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সকল মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসঙ্কটে পতিত হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে, শিশুরাই বেশি কষ্ট ভোগ করে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
জাতিসংঘের হাই লেভেল মিটিং চলাকালে ৮টি উচ্চ পর্যায়ের সভা ও সাইড ইভেন্ট ছাড়াও কয়েকটি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে ১২টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহন এবং সফলতার কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ওইদিন বিকেলে তিনি ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। গত ২৮ সেপ্টম্বর তিনি ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভার্জিনিয়ার বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে ৭৬তম জন্মদিন পালন করেন। এসময় তিনি শারীরিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর রিজ কার্লটন হোটেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এমএইচ