রাজধানীর কলাবাগানের একটি আবাসিক ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনায় গ্রিল কাটা চোর চক্রের ৪ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে পুলিশ
দিনের বেলায় কেউ ভ্যানচালক, কেউ ডাব বিক্রেতা, কেউবা সবজি বিক্রেতা। রাত হলেই তারা হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ ডাকাত কিংবা গ্রিলকাটা চোর। সারাদিন ঘুরে ঘুরে বাসা রেকি করে এভাবে চুরি-ডাকাতি করত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পুলিশ বলছে, বাসা রেকি করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করত এই চক্রের সদস্যরা। প্রথমে বড়লোক শ্রেণীর মানুষদের বাসা চিহ্নিত করা হয়। পরে কয়েকদিন ধরে ওই বাসায় কখন লাইট নেভানো হয়, শেষবার কবে বারান্দায় কাপড় মেলা হয়েছে, এসব বিষয়ে লক্ষ রাখা হয়। কয়েকদিন বারান্দায় কাপড় না নাড়া হলে চোর চক্রের সদস্যরা বুঝে যায়, বাসাটির বাসিন্দারা অন্য কোথাও রয়েছে। তখনই টার্গেট ফাইনাল করে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়।
গত ২০ আগস্ট রাজধানীর কলাবাগানের লেকসার্কাস ডলফিন গলির একটি বাসায় ৭২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো সোহেল, ফরহাদ, ইলিয়াচ শেখ ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার। গত সোমবার কলাবাগান ও আদাবর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন এবং চুরি যাওয়া তিন ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গ্রেফতারকৃত ৪ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে চোর চক্রের সদস্য সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচ। আর আনোয়ার চোরাই স্বর্ণ কিনেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।