ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

এক মাসে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৭৬ কোটি টাকা 

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৬ জুলাই ২০২২

এক মাসে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৭৬ কোটি টাকা 

পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এক মাসে টোল আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি টাকার বেশি। উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন থেকে যানচলাচল শুরু হয়ে গত ৩০ দিনে ছয় লাখের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে পদ্মা সেতু দিয়ে। 

পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে যানবাহন চলাচল ও আয়ের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, প্রথম মাসের চিত্র এর কাছাকাছি। 

২০০৫ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে যানবাহন চলাচল ও সেতু থেকে আয়ের একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

পরে ২০১০ সালে নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ৩৫ বছরে যানবাহনের সংখ্যা ও আয়ের একটা ছক তৈরি করে। এর ওপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালের আগস্টে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে আয়, ব্যয় ও মুনাফার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

৩০ দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৫৩টি। এ সময় প্রতিদিন যানবাহন চলেছে গড়ে ২১ হাজার। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫০ টাকা। অর্থাৎ দিনে আয় হয়েছে গড়ে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি।

এ পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ধারা দেখে সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের শেষভাগে এসে পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি যানবাহন চলাচল ও আয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, দিন দিন সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের চলাচল বাড়বে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেওয়া হলে পূর্বাভাসের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন চলাচল করবে। এতে আয়ও বেড়ে যাবে।

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর ২৬ জুন থেকে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল শুরু করে। প্রথম দিনেই এযাবৎ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। মোটরসাইকেল বন্ধের পর সর্বাধিক ৩২ হাজার ৪৪৬টি যানবাহন চলে ১১ জুলাই, পবিত্র ঈদুল আজহার পরদিন।

পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর প্রতিদিন পদ্মা সেতু দিয়ে গড়ে ২৩ হাজার ৯৫৪টি যানবাহন চলাচল করার কথা। ২০২৯ সালে তা হবে দৈনিক ৩৪ হাজার ৭২৫টি। ২০৫০ সালে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচল করবে ৬৬ হাজার ৮২৯টি।

এ বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন বলেন, পূর্বাভাসে মোটরসাইকেল ধরা ছিল। এখন মোটরসাইকেল চলছে না। সে হিসাবে বলা যায়, পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি আয় হচ্ছে, যানবাহন চলাচল করছে। এ ধারা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকবে বলে আশা করছেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

×