মহিউদ্দিন রনি ও তার সঙ্গীদের শুক্রবার কমলাপুর স্টেশনে ঢুকতে দেয়নি নিরাপত্তাকর্মীরা
রনি একাই কাঁপিয়ে দিয়েছেন রেলওয়ের ভিত। শুক্রবারও তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সবার নজর কাড়েন। তবে, বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার এ্যান্ড পারফর্ম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি ও তার সঙ্গীদের কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়নি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে মূল ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সহপাঠীদের নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন তিনি। এদিকে, আগেই তার কর্মসূচীর খবর পেয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ও রেলওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা। পরে রনি স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মীরা মূল ফটকে তাকে আটকে দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা, হাতাহাতি, নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটে। পরে মূল ফটকের সামনেই সহপাঠীসহ অবস্থান নেন রনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় রেলওয়ের যাত্রীরা ঢুকতে না পেরে রেলওয়ের মূল ফটকের রেলিংয়ের ফাঁক-ফোকর দিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রনি বলেন, আমরা মূলত শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি। আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এতে আমার মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করি। এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, মূল ফটকে তারা যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তাহলে ফটক কেন বন্ধ করেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্টেশনে প্রবেশের সময়ও রনির সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান করেন তারা। শুক্রবার ফের কমলাপুরে অবস্থান নেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এই ঢাবি শিক্ষার্থী। এরই জের ধরে প্রথমে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি। পরে রেলওয়ের ই-টিকেটিং পার্টনার সহজডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ ঘটনায় প্রথমে একক অবস্থান করলেও পরে দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ে।