স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ধানমণ্ডির-৩২ নম্বর বাড়িতে বসেই সারাদেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারও ধানমণ্ডির বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- ক্রমাগত বাণিজ্যিক আগ্রাসন, পরিবেশ দূষণ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলায় ঐতিহ্যবাহী সেই ধানম-ি আজ তার আবাসিক মর্যাদাটুকু প্রায় হারাতে চলেছে। তাই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়েআনতে এবং আধুনিক ও সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ধানমণ্ডিবাসীর সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ‘ধানমণ্ডি সোসাইটি’।
সোমবার দুপুরে ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভায় ধানমণ্ডিকে নিয়ে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ধানমণ্ডি সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি আবু মোহাম্মদ সবুর বলেন, যদি ঢাকাকে বাংলাদেশের রাজধানী বলা হয়, তবে ধানমণ্ডি হলো ঢাকার রাজধানী। ক্রীড়া-শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থসামাজিক কিংবা রাজনৈতিক দিক দিয়েও ধানমণ্ডি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাসের অংশ। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক এই সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী উপকমিটি গঠনের মাধ্যমে লেক, পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়ন, সবুজায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ, সংরক্ষণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে স্থানীয় অধিবাসীদের অবাধ ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত ও সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করা হবে। সুস্থ বিনোদন ও শরীর চর্চায় সকলকে উৎসাহিত করতে নিয়মিত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য যথাসম্ভব নিয়মিত মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন, ফুডব্যাংক গঠন, বস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোসাদ্দেক হাবিব মিতু বলেন, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় ও সহযোগিতায় ধানমণ্ডির সড়ক, উপসড়কে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনারোধ ও পথচারীদের নির্বিঘেœ চলাচলের জন্যও কাজ করবে ধানমণ্ডি সোসাইটি। এক্ষেত্রে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যবস্থা এবং উপসড়কে রোডসাইন ব্যবহার করে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকায় নিয়মিত পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য নিরসন, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সুনিশ্চিত করার জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ইলেক্ট্রনিক্স নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে এলাকার প্রবেশ এবং প্রস্থানমুখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সব মিলিয়ে ধানমণ্ডির বাসিন্দারা যাতে সর্বাধুনিক ও সামাজিক নিরাপত্তার সহিত জীবনযাপন করতে পারে, সেটি নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করবে ধানমণ্ডি সোসাইটি।