ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের গুলশান শাখার উদ্বোধন

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ৫ মার্চ ২০২১

ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের গুলশান শাখার উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রা শুরু করল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) নতুন শাখা। বৃহস্পতিবার আইজিসিসির গুলশান শাখার উদ্বোধন হয়। বসন্ত বিকেলে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উদ্বোধনী বক্তব্যে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই দু’দেশের সম্পর্কের শক্তি। এই সাংস্কৃতিক বন্ধনই দুটি দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্কের ভিত্তি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে এসে গুলশানে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। এস জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে ভারতের দুটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্র দুটি সংস্কৃতিকে অবলম্বন করে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ক সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাসে, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু করা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক নীপা চৌধুরী, সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু ও মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গুলশানের ইন্ডিয়া হাউজটি ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-২ হিসেবে যাত্রা শুরু করল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষে ছায়ানটের শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামটি। বহুমাত্রিক প্রতিভায় উজ্জ্বল এই ব্যক্তিত্ব সমাজ পরিবর্তনের নানা শাখায় রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। তার প্রচেষ্টাতেই সমাজের অভিশাপ দূর করে ঊনবিংশ শতকের বিধবা বিবাহের প্রচলন ঘটেছিল। শুধু কি তাই? সেকালে নারী শিক্ষার প্রচলনেও রেখেছিলেন অগ্রপথিকের ভূমিকা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশেও রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। তার প্রতিভার স্ফুরণেই প্রথম বাংলা গদ্যের স্বার্থক রূপায়ন ঘটে। এ কারণেই তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সময়ের পরিক্রমায় চলছে এই বিশিষ্ট গদ্যকার, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই সুবাদে এই গুণীজনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ‘ফিরে আসি বার বার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট। মহামারীর চলমান পরিস্থিতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছায়ানট থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শনিবার রাত আটটায় ছায়ানটের ইউটিউটব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে পরিবেশিত হবে অনুষ্ঠানটি। সে আয়োজনে গানের সুরে সুরে ভালবাসা জানানো হবে বিদ্যাসাগরকে। পাঠের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে তার প্রতি বিশেষ অনুরাগ। গান ও পাঠের সঙ্গে থাকবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিবেদিত তার কীর্তিময় জীবননির্ভর আলোচনা। এ বিষয়ে আলোচনা করবেন গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ। মহামারী পরিস্থিতিতে হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট ॥ আর মাত্র একদিন। আগামী রবিবার স্বাধীনতার জয়গান গাওয়া সেই ঐতিহাসিক সাতই মার্চ। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার দিকর্দেশনামূলক ভাষণের সেই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে প্রতিবছর মুখরিত হয়ে ওঠে বনানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম। জয় বাংলা শিরোনামের কনসার্টের মাধ্যমে বয়ে যায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। তবে মহামারী পরিস্থিতির কারণে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ইয়াং বাংলা আয়োজিত কনসার্টটি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবার জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করা না গেলেও আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ কনসার্ট হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড ইনফর্মেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার তত্ত্বাবধানে এ কনসার্ট হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনে আর্মি স্টেডিয়ামে এই কনসার্ট হয়ে আসছিল। একাত্তরের যুদ্ধদিনের অনুপ্রেরণা যোগানো গানগুলো এ কনসার্টে ফিরিয়ে আনা হয় তরুণদের কণ্ঠে। প্রতিবছর কয়েক লাখ তরুণ অনলাইনে ও সরাসরি কনসার্ট উপভোগ করতেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবারের কনসার্ট হবে না বলে ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয় হয়।
×