অনলাইন ডেস্ক ॥ টিকা নেওয়ার পর কোনো অসুবিধা হয়নি, ব্যথাও পায়নি, বোঝাও যায়নি। খুব ভালো লাগল। দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে সবাই নির্ভয়ে যথাসময়ে টিকা নিন।'
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর মহানগর জেনারেল হাসপাতালে সস্ত্রীক করোনার টিকা গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তাপস বলেন, 'আজকে আমি এবং আমার স্ত্রী টিকা নিলাম। খুবই ভালো লাগল। কোন অসুবিধা হয়নি এবং কোনো ব্যাথাও লাগেনি। বোঝাও যায়নি। কথা বলতে বলতেই টিকা প্রদান করা হলো। খুবই সুচারুরূপে আমাদের প্রশিক্ষিত নার্স এই টিকা দিয়েছেন।'
সবাইকে দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে করে টিকাগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, 'আমি সবাইকে আগেও নিবেদন করেছি, আবারও সবাইকে আহ্বান করব। আপনারা সবাই নির্ভয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাসময়ে টিকা নিয়ে নিন। এই টিকা নেওয়ার মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণরূপে করোনা মুক্ত হতে পারব এবং করোনাকে জয় করব।'
গত বৃহস্পতিবার করোনার টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, 'প্রথমে ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে যখন ৪০ বছর থেকে উন্মুক্ত করা হলো, তখন আমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। গত বৃহস্পতিবার আমি নিবন্ধন করেছিলাম। গতকাল আমার টিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন ছিল। যেহেতু নির্ধারিত তারিখের পরের দিন দেওয়া যায়, সেজন্য আজ প্রথম কার্যদিবসে আমি এবং আমার স্ত্রী টিকা গ্রহণ করলাম।
টিকা নিতে আসার পর সার্ভার-ডাউন আছে জেনেছেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'এটাতো কারিগরি প্রক্রিয়াগত বিষয়। আমাকে পরিচালক বলেছেন- ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আমি আশা করব যে, যত দ্রুত সম্ভব এটি যেন ঠিক হয়ে যায়। কারণ এরই মধ্যে টিকাগ্রহণে মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভিড় করছে। সুতরাং, অযথা যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটা লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়। যদি এখানে বিলম্ব হয়, তাহলে অন্যত্র যেন টিকাদান প্রক্রিয়াটা করা যায়।'
মেয়র তাপস আরো বলেন, 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় অন্য যেসব হাসপাতাল আছে, প্রয়োজন হলে সেখানে যেন তাদেরকে আমরা স্থানান্তর করতে পারি, সে বিষয়টি দেখার জন্য আমি পরিচালকসহ সবাইকে নিবেদন করব।'
নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ পাচ্ছেন কিনা - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন হয়ে গেছে। সুতরাং, সবাই কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা জানে। আর যেহেতু প্রক্রিয়াটা বাংলায়, সুতারাং, সবাই সহযোগিতা নিতে পারছে। এছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক নিবন্ধন বুথ করা হচ্ছে। আমাদের রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাইনি। আশা করছি, সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে। আর টুকটাক যেসব কারিগরি সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
মহানগর জেনারেল হাসপাতালে মেয়র তাপস ও তাঁর স্ত্রী আফরিন তাপসের পর টিকা গ্রহণ করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং তাঁর সহধর্মিণী কাজী উম্মে সালমা।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রকাশ চন্দ্র রায়, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।