অনলাইন ডেস্ক ॥ সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে সব উপজেলায় অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বেলা ১২টায় সচিবালয়ের টিকাদান কেন্দ্রে এসে নিজের প্রথম ডোজ টিকা নেন ৭১ বছর বয়সী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
পরে তিনি বলেন, “আজকে টিকা নেওয়ার পরে অনেকটা আশ্বস্ত হলাম।”নির্ভয়ে ও নিঃসঙ্কোচে এই টিকা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “টিকা নেওয়ার বিষয়ে আমার মধ্যে কোনো ভয়ভীতি নেই। যেহেতু এই টিকা নিতেই হবে, এটার কোনো বিকল্প নেই, তাই নিয়ে নেওয়াই ভালো।
“বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার করোনাভাইরাস নিয়ে যে চিন্তা-চেতনা, মানুষকে কিভাবে করোনা থেকে মুক্ত করা যায় সেজন্য তিনি তার মেধা, প্রজ্ঞা, শ্রম দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নত বিশ্ব যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পুরোপুরি সফল হতে পারেনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল হয়েছেন।”
গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর বয়সে প্রবীণ ও রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনায় সম্মুখসারির কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিচেনায় ও নির্দেশনায় সারাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকারমূলক টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
নুরুজ্জমান আহমেদ বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে করোনাভাইরাসের টিকা যাতে দেওয়া যায়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক কর্মীরা সেখানে সহযোগিতা করছেন। উপজেলাভিত্তিক তালিকা দেওয়া আছে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষজনকে করোনাভাইরাসের টিকা অবশ্যই দেওয়া হবে।”