জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ। শুক্রবার মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান জানায়, শীঘ্রই দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হবে এবং তখন তাদের আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি নেয়া এবং সরাসরি জাহাজ চলাচলের মতো বিষয়গুলোও থাকবে। খবর বিবিসির।
বাংলাদেশে তখন বিশেষ করে পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজ শুরুর সময়ে এটি আলোচনায় এসেছিল কারণ ওই বন্দরের জন্য পটুয়াখালীর রামনাবাদ চ্যানেলে ব্যাপক ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ড্রেজিং ডিস্পোজাল অর্থাৎ ড্রেজিং করে যে বালু ও পলি সরানো হয় সেগুলো রাখা বা সরানোটা ড্রেজিংকে ব্যয়বহুল করে তোলায় বিশেষজ্ঞরা এগুলো রফতানির প্রসঙ্গটি সামনে এনেছিলেন বলে জানা গেছে। হাইকমিশনার জানান, তারা এখন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্ভাব্য সফর নিয়ে কাজ করছেন এবং আশা করছেন খুব শীঘ্রই একটি সফর অনুষ্ঠিত হবে। ওই আলোচনার সময় উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মালদ্বীপকে বালু ও পলিমাটি নেয়ার এ প্রস্তাব বাংলাদেশই প্রথম দিয়েছিল আরও অন্তত চার বছর আগে। গত নবেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহিদ ফোনে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় আব্দুল্লাহ শহিদ বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।