অনলাইন রিপোর্টার ॥ নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান অসমাপ্ত জবানবন্দি শেষ করেন।
এরপর আসামিপক্ষ তাকে জেরা করে। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ১২ সাক্ষীর সবারই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এরপর আদালত বুধবার(৯ সেপ্টেম্বর) ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন। এরপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন পুলিশ পরিদর্শক শাইরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক সুধাশন সরকার ও তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এর মধ্যে আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় তার অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার জন্য ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেই থেকে সাত কার্যদিবসে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হলো।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এই মামলায় সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬শ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’টি মামলা হয়।
তিনটি মামলায় এ দু’জনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।