স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কে যাত্রীবাহী বাস শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত সার্ভিস চলাচল করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। করোনার এ দুর্যোগকালীন যাত্রীবাহী বাস ও দুরন্ত চলাচল না করায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অসহায় যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে অটো ও লেগুনায় চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে যাত্রীরা। তারা এ রুটে জরুরী ভিত্তিতে বিআরটিসি বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-ডেমরা সড়কটি নির্মিত হয়। তখন এ সড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে শিমরাইল হয়ে ঢাকার ডেমরা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস চলাচল করত। এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ-শিমরাইল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস শীতলক্ষ্যা পরিবহন ও চাষাঢ়া পর্যন্ত দুরন্ত সার্ভিস চলাচল করত। সারাদেশসহ নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সরকারী নির্দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়। ফলে এ রুটের শীতলক্ষ্যা ও দুরন্তও বন্ধ থাকে। পরে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক-মহাসড়কে আবারও গণপরিবহন চলাচল করলেও শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত সার্ভিস চলাচল করছে না বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে এ রুটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছে। দুরন্ত পরিবহনের সুপারভাইজার ও মালিক লিটন শিকদার বলেন, করোনা সংক্রমণের আগে এ রুটে ৪৯টি যাত্রীবাহী দুরন্ত চলাচল করেছে। এখন করোনার কারণে দুরন্তগুলো বন্ধ রাখায় অনেকগুলোর ইঞ্জিন ক্ষতি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এখন ৪/৫টি দুরন্ত চলাচল করছে। এছাড়া শিমরাইল এলাকায় ডিএনডি পাম্পহাউজের সামনের সড়কটি কেটে ডিএনডি থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের নিচ দিয়ে ক্যানেল নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় কাঁচপুর ব্রিজ এলাকা দিয়ে ঘুরে শিমরাইল মোড়ে আসতে হয়। এ কারণেও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যাত্রীবাহী বাস দুরন্ত চলাচল করছে না। সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুরের যাত্রী আব্দুল আউয়াল বলেন, এ রুটে শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত পরিবহনের কাছে যাত্রীরা জিম্মি। করোনার এ দুর্যোগের সময় তারা বাসগুলো চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অটো দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেয়ে চলাচল করছে। তিনি অভিযোগ করেন, এ রুটে শীতলক্ষ্যা ও দুরন্ত কর্তৃপক্ষ অন্য কোন বাস সার্ভিস নামাতে দিচ্ছে না। তিনি শীঘ্রই এ রুটে বিআরটিসি বাস চালুর দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, অটো, লেগুনাতে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে করোনার ঝুঁকিও বাড়ছে।