স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলবে। সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি নিম্নরূপ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন।’ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন, বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামকে ফৌজদারি বেঞ্চের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান রিট বেঞ্চের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার দেওয়ানি বেঞ্চের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই চলবে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম। সোমবার প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি রোধকল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে সুপ্রীমকোর্ট থেকে গত ৩০ মে জারি করা সার্কুলারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে। গত ৩০ মে সর্বশষ ভার্চুয়াল আদালতের কার্যকারিতা ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শুরুতে ভার্চুয়াল আদালত শুধু হাজতি আসামির জামিন শুনানিতে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এখন রিমান্ড শুনানি ও চেক ডিজঅনারের মামলা ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১০ মে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর।