জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ‘বাংলাদেশী’, যারা নানা সময়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাধিকারও প্রয়োগ করেছেন, তারা ভারতেরই নাগরিক। নতুন করে নাগরিকত্বের জন্য তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। খবর এনডিটিভির।
যদিও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারত বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে অনেকেই দেশটিতে শরণার্থী বা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বসবাস করে আসছে বলে দাবি করলেও, বাংলাদেশ বরাবরই এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ সরকারের উচ্চপদস্থ অনেকেই বিভিন্ন সময় ভারতে বিশাল অঙ্কে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী রয়েছে দাবি করে নানান উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার এক জনসভায় বিজেপির নাগরিকত্ব আইন ও সম্প্রতি এর জেরে দিল্লীর দাঙ্গায় হতাহতের তীব্র সমালোচনা করে মমতা এসব কথা বলেন। মমতা বলেন, যারা ‘বাংলাদেশ’ থেকে ভারতে এসেছে, তারা ভারতের নাগরিক। তারা নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন। আপনাদের আবারও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। আপনারা নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করছেন... আর এখন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলে কিনা আপনারা এ দেশের নাগরিক নন... তাদের বিশ্বাস করবেন না। এদিন জোরালো কণ্ঠে মমতা ব্যানার্জী আরও ঘোষণা দেন, তিনি এমনকি ‘একজন নাগরিককেও’ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দিতে দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী কোন শরণার্থীই ভারতের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও জানান তিনি। নাগরিকত্ব আইনের জেরে দিল্লীর দাঙ্গা ও এতে হতাহতের ঘটনায় ভারতের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে ভর্ৎসনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে কখনই তিনি আরেকটি দিল্লীতে পরিণত হতে দেবেন না। মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, মনে রেখো, এটা বাংলা। দিল্লীতে যা ঘটেছে কস্মিনকালেও তা এখানে ঘটবে না। আমরা বাংলাকে আরেকটা দিল্লী বা উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
