ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই বিএন‌পির পরাজয় : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই বিএন‌পির পরাজয় : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক ॥ সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে সিটি নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই রাজনীতির ধারা তারা যতদিন লালন-পালন করবে ততদিন তারা বিজয়ী হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করে বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে জয়ী হবে আর বিএনপির ধারাবাহিক পরাজয় হতে থাকবে। এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা আন্দোলন করবে সেই ভরসাও কি করা যায়? বিএনপি ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তরুণ ও নারীরা সবাই মিলে একই পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে পড়ছে। ওবায়দুল কা‌দের ব‌লেন, বিএনপি এখন হতাশা থেকে অনেক কথা বলছে। পরাজিত হয়ে তারা যে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, সেটা তাদের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। গণমাধ্যমে খবর এসেছে তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়। তাহলে কর্মীদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, কেমন করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি বলেন, বিরোধীদল শক্তিশালী হোক, বিরোধীদল বড় সমাবেশ করুক আমরা সেটা চাই। কারণ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধীদল দরকার। কিন্তু নেতিবাচক রাজনীতি তাদের নির্বাচ‌নে পরাজয়ের কারণ। নেতিবাচক রাজনীতি তাদের আন্দোলন সফল হতে দিচ্ছে না। এটা তাদের নিজেদের ব্যর্থতা, সাংগঠনিক ব্যর্থতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা। ধারাবাহিক ব্যর্থতা তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। ওবায়দুল কা‌দের ব‌লেন, বিএনপি যতদিন সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতাকে লালন-পালন করবে, তত‌দিন তাদের এই নেতিবাচক ধারার কারণে আন্দোলনেও বিজয়ী হবে না, নির্বাচনে বিজয়ী হবে না। সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা অবশ্যই আছে। এই থেকে উত্তরণের জন্য মহানগরে ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করে কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ৯৮ জন, সংরক্ষিত ৩৪ জন, মোট ১৩২ জন। ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর বড় কোনও সংখ্যা নয়। সেতুমন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটি দফতরে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যেসব জেলার যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলোকে এপ্রিলের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বিকাল চারটায় ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বসা হবে। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
×