অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী বলেন, আমরা রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে কাজ করে যাচ্ছি। চীনের সহযোগিতায় ও ভারতের অর্থায়নে আমাদের অনেক প্রকল্প চালু আছে। আমরা ট্রেনকে ১৬ কোটি মানুষের চাহিদার শীর্ষে আনতে চাই। সে লক্ষ্যে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, সিঙ্গেল লাইনগুলোকে ডাবল লাইনে আনার কাজ চলছে, নতুন নতুন রুটে রেল চলাচলের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রেলভবন মিলনায়তনে সদ্য ভারত ও চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, দেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মাসেতুর কাজ চলছে পুরোদমে। এরইমধ্যে সেতুর ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের কাজও অব্যাহত আছে। স্বপ্নের এ সেতু উদ্বোধনের দিনেই এর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এ লক্ষ্যে ভাঙ্গা-মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটারের রেল লাইনের কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথম দিকে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এ ট্রেন চলবে। তবে এ সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত (১৭২ কিলোমিটার) ট্রেন চলাচল করতে আরও সময় লাগবে। সেটা হয়তো আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ (২০২৪ সাল) পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন পড়বে।
মন্ত্রী ভারত ও চীন সফর নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা ভারতের ট্রেন, তাদের ট্রেনে আধুনিকতা সরেজমিনে দেখে এসেছি। আমাদের দেশে চলাচলরত ২৬৩ ট্টেনের ৬৮ শতাংশ মেয়াদ আছে, বাকিগুলোর নেই। আমরা ভারতের কাছে কিছু ইঞ্জিন কেনার প্রস্তাব দিলে তারা বন্ধুত্বের স্বরূপ ২০টি ইঞ্জিন উপহার দেবে, যেগুলো তিন বছর পর ফেরত দেবো। পরে সেখান থেকে আমরা ইঞ্জিন কিনবো, সেটা হয়তো ২০২৩/২০২৪ সালে আসতে পারে। আমরা চীনের দ্রুতগতির ট্রেন দেখেছি, আমাদের দেশে সেগুলো নিয়ে স্ট্যাডি চলবে। বন্ধু রাষ্ট্র দুটির অভিজ্ঞতাগুলো ট্রেনে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে কাজ করা হবে।
রাজধানীর রেলকলোনির উচ্ছেদ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শাহজাহানপুর রেলকলোনিতে হাজারো অবৈধ স্থাপনা আছে, সেগুলো উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি, একটা টেকসই অর্থনৈতিক দেশ গড়তে সরকার বদ্ধ পরিকর। সবদিক বিবেচনা নিয়ে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।