এমদাদুল হক তুহিন
-----------------------
সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতি দর্শকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও কারিগরি অদক্ষতায় পিছিয়ে পড়ছে চ্যানেলটি। জাতীয় সংসদের সামগ্রিক কার্যক্রম দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে টেলিভিশনটির যাত্রা শুরু হলেও তেমন সুফল মিলছে না। ভিন্ন কোন চ্যানেলের শব্দ চলে আসা কিংবা এফএম রেডিওর শব্দ শোনা যাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে দর্শক; ফলে অবাধ তথ্যপ্রবাহেও বিঘœ ঘটছে। এমনকি ইন্টারনেট দুনিয়ায় চ্যানেলটির নেই কোন অস্তিত্ব, খুঁজে পাওয়া যায়নি টেলিভিশনটির নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট। আর এসব সমস্যা সামনে রেখে নতুন আঙ্গিকে এগিয়ে যেতে চায় টেলিভিশনটি। নতুন স্টুডিওতে নিত্যনতুন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহায়তায় সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হলেও আগামী বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্রচারে আসতে চায় চ্যানেলটি।
জাতীয় সংসদের কার্যক্রম দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সংসদকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতেই টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধায় চ্যানেলটি ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি সম্প্রচার শুরু করে। নবম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় এই টেলিভিশন চ্যানেলটির উদ্বোধন হয়। তবে সংসদের নিয়ন্ত্রণাধীন চ্যানেলটি পরিচালনার জন্য সুচারু কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে চলছে চ্যানেলটি। সংসদ অধিবেশনের পুরোটাই সংসদ টিভি সম্প্রচার করে। এছাড়া অন্য সময় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চ্যানেলটিতে উন্নয়ন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য সংসদ টিভি চালু করার উদ্যোগটি অত্যন্ত চমৎকার। তবে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলে জনগণের কাছে এর কার্যক্রম পৌঁছবে না। প্রতিষ্ঠানটিকে কারিগরি দিক দিয়ে উন্নত হতে হবে, নতুবা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এর যাত্রা সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
আগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও কারিগরি ত্রুটিতে বিরক্ত দর্শক ॥ শুভানুধ্যায়ী, দর্শক ও চ্যানেলটির সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন চ্যানেলটির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সংসদ অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করায় চ্যানেলটির প্রতি ত্রিশোর্ধ মানুষের আগ্রহ খুব বেশি, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে দাদুর বয়সী মানুষের মুখেও ফুটে ওঠে হাসি। প্রত্যন্ত গ্রামের কোন সংসদ সদস্য যখন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন, সেই মুহূর্তটি এখনও অনেক এলাকায় ঈদ আনন্দের মতোই। কিন্তু চ্যানেলটির কারিগরি ত্রুটিতে অল্প সময়েই ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। ভিন্ন টিভির শব্দ চলে আসায় বিচ্যুতি ঘটে শ্রবণে, অস্বচ্ছ-রঙিন ছবি উদ্রেক ঘটায় বিরক্তির।
সংসদ টেলিভিশনের নিয়মিত দর্শক ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন পরান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, সংসদ অধিবেশন দেখতে পাওয়ায় আমি প্রায়ই চ্যানেলটি দেখি। অধিবেশন চলাকালে এলাকার অনেকেই চ্যানেলটির দর্শক হয়ে ওঠেন। তবে অস্বচ্ছ ছবি বা অন্য টিভির শব্দ চলে আসায় আমিসহ অনেকেই বিরক্ত হই। মানের দিক থেকে এটি একদম নতুন আসা চ্যানেলের মতো। তিনি আরও বলেন, চ্যানেলটির কারিগরি মানোন্নয়ন সম্ভব হলে দর্শকের আগ্রহ আরও বাড়বে।
দর্শকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (পোগ্রাম) এস এম মনজুর জনকণ্ঠকে বলেন, দিনদিন সংসদ টিভির প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে। আর সংসদ অধিবেশন চলাকালে চ্যানেলটির দর্শক বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রচারে কারিগরি সমস্যার কথা স্বীকার করে সংসদ টিভির পরিচালক (কারিগরি) রায়হানুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘কোথাও কোথাও প্রচারিত শব্দের জায়গায় এফএম রেডিওর শব্দ শোনা যায়।’ কিন্তু অন্য চ্যানেলের ছবি কিংবা শব্দ সংসদ টিভিতে প্রচারিত হওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। আর এমন যান্ত্রিক ত্রুটি প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের ভাষ্য, বর্তমানে অবস্থার উত্তরণ ঘটেছে। ভাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা অনেকটা ইমপ্রুভ করেছি।
জানা গেছে, কোন কোন কেবল অপারেটর সংসদ টিভি প্রচার করে না। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এম এ হালিম বলেন, সব কেবল অপারেটর যাতে সংসদ টেলিভিশন প্রচার করে, সে ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে। কেউ যদি তা অমান্য করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিতরণ হয়নি সেট টপ বক্স ॥ চ্যানেলটির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রচারে যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ কেবল অপারেটরদের সেট টপ বক্স দিয়ে থাকে। একাধিক কেবল অপারেটরের সঙ্গে কথা বলেও এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সম্প্রচারে যাতে কোনরূপ সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সংসদ টেলিভিশনের পক্ষেও সেট টপ বক্স সরবরাহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। তবে ১৩’র পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ায় সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রিকোয়েন্সি পেতে সমস্যা হচ্ছে, সম্প্রচারে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, সংসদ টিভিতে যারা প্রথম থেকে আছেন তারা বিটিভির সঙ্গে সমঝোতা মেনে নিতে পারেননি। তাদের মতে, গত ২ বছরে প্রতিষ্ঠানটির কোন উন্নয়ন ঘটেনি। তবে বর্তমান মহাপরিচালকের সময়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে উঠে চ্যানেলটির উন্নয়নে নেয়া হচ্ছে নিত্যনতুন পরিকল্পনা, সেট টপ বক্স বিতরণেও নেয়া হবে উদ্যোগ।
চ্যানেলটির নেই নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট ॥ সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া থেকেও বঞ্চিত। ইন্টারনেট দুনিয়ায় সংসদ টেলিভিশনের নেই কোন অস্তিত্ব, খুঁজে পাওয়া যায়নি টেলিভিশনটির নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যবহার করে চ্যানেলটির ওয়েবসাইট খোঁজা হলে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ’র (যঃঃঢ়://িি.িঢ়ধৎষরধসবহঃ.মড়া.নফ) ওয়েবসাইট আসে, যেখানে গণমাধ্যম নামে একটি মেনুবার রয়েছে। সেই মেনুবারে ‘সংসদ টিভি’ নামে একটি অপশন দেখা গেলেও তাতে ক্লিক করলে পেজটি অকার্যকর দেখাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘দিস প্লাগইন ইজ ভালনারেবল এ্যান্ড শুড বি আপডেট’। অর্থাৎ পেজটি দীর্ঘদিন যাবৎ আপডেট হয়নি অথবা ভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে সংসদ টিভির মেনু যুক্ত থাকলেও এর কোন কার্যক্রম নেই। অথচ ডিজিটাল প্রযুক্তির আবির্ভাবে সংসদ টিভির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কার্যক্রম সংযুক্ত থাকার কথা। বিশ^স্ত সূত্রের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির ডোমেইন কেনা হলেও তাতে আপলোড করা হয়নি কোন প্রোগ্রাম। কিন্তু গুগলে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোন ডোমেইনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি ইন্টারনেটে টেলিভিশন দেখার যে সুবিধা রয়েছে তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে চ্যানেলটির দর্শক। জাগো বিডিতে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানতে সংসদ সচিবালয়ের আইটি বিভাগে নিয়োজিত খান মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি বার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া মেলেনি। তবে পিছিয়ে থাকার এ প্রসঙ্গটি তুলে ধরলে নিজস্ব ওয়েবসাইটের ব্যাপারে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এ প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেছেন সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এম এ হালিম।
এগিয়ে চলছে নতুন স্টুডিওর কাজ ॥ দীর্ঘ সময় ধরে থমকে থাকা সংসদ টিভির কাজে গতি পাচ্ছে। এগিয়ে চলছে নতুন স্টুডিওর কাজ। ইতোমধ্যে পুরনো স্টুডিওর যন্ত্রপাতি ও সাজসজ্জার সরঞ্জামাদি সংসদ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্টুডিওর কাজ। পুরো কাজ শেষ করতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক ব্যক্তির ভাষ্য, চ্যানেলটির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব উদ্যোগে চ্যানেলটির সম্প্রসারণ ও সম্প্রচার কাজে নতুন করে হাত দেয়া হয়েছে। সার্বিক উন্নয়নে নতুন করে পরিকল্পনার ছক আঁকছে উর্ধতন মহল।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ ডিজিটাল স্টুডিও নির্মাণ, হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড সিস্টেম, অত্যাধুনিক ক্যামেরা, লাইটসহ একটি স্বতন্ত্র টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনার জন্য যত ধরনের যন্ত্রাংশ প্রয়োজন তার সবই ইতোমধ্যে নতুন স্টুডিওতে সংযোজন করা হয়েছে। বিশাল এবং আধুনিক অডিটরিয়াম, ভয়েস স্টুডিও, মেকাপ রুম, ড্রেসিং রুম ছাড়াও আলাদা আলাদা সেট নির্মাণের জন্য নানা ধরনের ফার্নিচার শোভা পাচ্ছে স্টুডিওতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী লাইটিংয়ের জন্য সর্বাধুনিক লাইটিং সিস্টেম, অবি ভ্যান ট্রলি, ডলি জিপয়ার্মসহ সব কিছুই এখন সংসদ টেলিভিশনের স্টুডিওতে রয়েছে প্রস্তুত।
সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রযোজক মাকসুদা সুলতান ঐক্য জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পীকারের তত্ত্বাবধানে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে আগামী দুু’এক মাসের মধ্যে নতুন প্রোডাকশনে যাচ্ছে। আগামী দু’ মাসের মধ্যেই আমরা স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করছি। সব ধরনের অনুষ্ঠান ও দর্শকের রুচির কথা মাথায় রেখে নির্মাণের পথে এগোচ্ছি। চ্যানেলটি হয়ে উঠবে সকলের অহঙ্কারÑএটাই আমাদের প্রত্যয়। কোন্ ধরনের প্রোগ্রাম নিয়ে ভাবছেন এমন প্রশ্নে ঐক্য বলেন, সংসদ অধিবেশন ছাড়াও উন্নয়মূলক ডকুমেন্টারি, শিক্ষামূলক ডকু প্রোগ্রাম, জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রাম, দেশের গানসহ উন্নত সব টিভি অনুষ্ঠান আমাদের সংসদ টেলিভিশনে প্রচার করব। আর এসব কিছুই আমরা আমাদের মতো স্বতন্ত্রভাবে করব বলেই কিছুটা সময় নিয়ে সব গুছানো হচ্ছে।
সংসদ টিভি স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনার দাবি ॥ প্রথম থেকে যুক্ত আছেন এমন কর্মকর্তা-কর্মচারী চ্যানেলটিকে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনার দাবি জানান। জানা গেছে, তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সঙ্গে সমঝোতা কিংবা তাদের অধীনে চ্যানেলটির পরিচালনা কোনক্রমেই মেনে নিতে পারেননি। বর্তমানে বিটিভির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত হলেও আগামী এক বছরের মধ্যে চ্যানেলটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, বিটিভি অনেক কিছুই করছে, তবে তারা অনেক সময় জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। তাই, সংসদ টিভি স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হোক এটা আমারও চাওয়া। টেলিভিশনটি সংসদ ভবন থেকে স্বকীয় ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়াটাই ভাল। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এম এ হালিম জনকণ্ঠকে বলেন, সংসদ টেলিভিশন এখন পর্যন্ত অনেক এগিয়েছে। নিজস্ব লোকবল আর প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐকান্তিক পরিশ্রমে নতুন টেলিভিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নেয়ার সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে; তবে বিটিভির অধীনে নয়, তারা আমাদের সহায়তা করছে। আমরা তাদের অপারেশনাল ও কারিগরি সহায়তা নিচ্ছি। আশা করি, আগামী বছরের মধ্যে আমরা নিজেরাই সব কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
শীর্ষ সংবাদ: