ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিনের গণ ইফতারে শরিক হতে পারেন যে কেউ

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১১ মার্চ ২০২৫

বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিনের গণ ইফতারে শরিক হতে পারেন যে কেউ

মাহে রমজানে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিনই আয়োজন করা হয় গণ ইফতারের। এই বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে, মুসল্লিরা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেহেতু মসজিদে আগত যে কেউ ইফতার গ্রহণের সুযোগ পান।


বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি, তাবলীগ জামাতের সুরায়ে নিজাম অনুসারী সহ আরও কয়েকটি সংগঠন একত্রে এই ইফতারের আয়োজন করে। রোজাদাররা এসব আয়োজনে শরিক হয়ে তাদের ইফতার সম্পন্ন করেন, যা তাদের কাছে একটি খুবই আনন্দদায়ক মুহূর্ত।


জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সারা বছরই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও, রমজান মাসে এর মাহাত্ম্য ভিন্নমাত্রা লাভ করে। যেকোনো সময়ের পাশাপাশি রমজানে এখানে আরও বেশি মানুষ এসে কোরআন তেলাওয়াতসহ নফল ইবাদতে মশগুল হন।


রোজার দিনে, আসরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় ইফতারের প্রস্তুতি। মসজিদের টিন শেড অংশ কিংবা পূর্ব শানে এসব গণ ইফতারের আয়োজন করা হয়। বাম পাশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ আয়োজন করে, যেখানে একত্রে হাজারের অধিক রোজাদার ইফতার করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব বলেন, "আশেপাশে অনেক মুসল্লি নিয়ত করে আসে, আবার অনেক ভাসমান লোকও এখানে আসে। তারা ইফতার করার জন্য যথাযথ স্থান পায় না, তাই আমাদের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন আমাদের বাজেট প্রায় এক লাখ টাকা, তবে চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেটি বাড়াতে পারি।"


পূর্ব শানের ডান পাশে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি এবং মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় প্রতিদিন ২০০০ মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করা হয়। একই সময়ে, তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষের জন্যও আয়োজন থাকে। প্রত্যেকটি সংগঠনের আয়োজনে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা হলেও, সব মিলিয়ে বায়তুল মোকাররমে ইফতার করতে আসেন ৫০০০-এ অধিক মানুষ।


ইফতারের পাশাপাশি, এখানে চলে কোরআন তেলাওয়াত। ইফতারের পূর্বমুহূর্তে, মুসল্লিরা দুহাত তুলে মহান আল্লাহর কাছে তাদের ফরিয়াদ জানান। আযানের সময় ঘনিয়ে আসলে, বড় পাত্রে কিছু লোক একত্রে ছোলা, মুড়ি, বিভিন্ন প্রকার ভাজাপোড়া নিয়ে বসে পড়েন। আযানের ধ্বনি শুনেই, "বিসমিল্লাহ" বলে, সারাদিনের রোজা ভেঙে একসাথে খাবার গ্রহণ করেন।


ইফতার শেষে, মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি শুরু হয় এবং রোজাদাররা তাদের পূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে সেদিনের সিয়াম শেষ করেন।


সূত্র:https://tinyurl.com/3xnf4c9a

আফরোজা

×