ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

বাড়ছে মেট্রোরেলের সংখ্যা, চলবে শুক্রবার সারাদিন

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাড়ছে মেট্রোরেলের সংখ্যা, চলবে শুক্রবার সারাদিন

আগামী মে মাস থেকে শুক্রবারও সারাদিন মেট্রোরেল পরিচালনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে যে বিরতিতে মেট্রোরেল চলছে, সেটিও কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে দৈনিক ট্রেন চলাচলের সংখ্যা আরও বাড়বে।

 

গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরা মেট্রোরেল ডিপোতে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি জানান, বর্তমানে শুক্রবার মেট্রোরেল দুপুর তিনটা থেকে চলাচল শুরু করে। অন্যান্য দিন ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ার) প্রতি ৮ মিনিটে এবং কম ব্যস্ত সময়ে (অফ পিক আওয়ার) প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে ট্রেন ছেড়ে যায়। বর্তমানে মেট্রোরেল চালু দিনগুলোতে প্রতিদিন ১৯৮ বার যাতায়াত করে। বিরতির সময় কমানো হলে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। শুক্রবার সকালেও মেট্রোরেল চালু হলে চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

 

মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মেট্রোরেলের ফ্রিকোয়েন্সি মে মাসের মধ্যে সহনীয় মাত্রায় আনার জন্য। উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে এবং মে মাসকে আমরা টার্গেট করেছি। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করা হয়। মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে এটি বেড়ে সাড়ে পাঁচ লাখ হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে মেট্রোরেল যাত্রীদের টিকিট বিক্রি করে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২২ সালে আংশিক চালুর পর ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২২ কোটি টাকার বেশি।

 

মেট্রোরেল পরিচালনার ব্যয়ের বিষয়ে ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আফতাবুজ্জামান জানান, মাসে গড়ে ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল এবং আরও প্রায় ৬ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয়। এর বাইরে মেরামত, স্টেশনারি কেনাকাটার ব্যয়ও রয়েছে। কিছু কর্মকর্তার বেতন-ভাতা প্রকল্পের অধীনে পরিশোধ করা হয়।

ডিএমটিসিএলের এমডি আবদুর রউফ জানান, মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধের জন্য এ পর্যন্ত তিনটি কিস্তি দেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৭৬ কোটি টাকা।

 

গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে অন্যান্য স্টেশন ও স্থাপনা থেকে কিছু যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে এবং স্থানীয়ভাবে কিছু পণ্য কিনে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি স্টেশন চালু করা হয়।

ডিএমটিসিএলের এমডি জানান, অন্য স্থান থেকে নেওয়া যন্ত্র ও সামগ্রীর প্রতিস্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ কাজে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা।

 

তাবিব

×