ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর রমনার কাকরাইল মোড়ে র্যাব পরিচয়ে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. কবির হোসেন, মো. শরিফ, মো. মনির হোসেন এবং মো. হাবিবুর খন্দকার। পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস এবং আটটি মোবাইল ফোনও জব্দ করেছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর তাতিবাজার থেকে ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে বাড্ডার বাসায় ফেরার পথে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী এই ডাকাতির শিকার হন। কাকরাইল মোড়ে বাস থামার পর ডাকাতরা র্যাবের পরিচয়ে বাসে উঠে সাইফুলকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং টাকা, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, মানিব্যাগসহ অন্যান্য সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রমনা মডেল থানায় ডাকাতির মামলা রুজু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ডিসেম্বর অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে মাইক্রোবাসসহ মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বংশালে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই দলটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সুশৃঙ্খল চেইন অব কমান্ডে ডাকাতি পরিচালনা করে। তারা একে অপরকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে এবং ডাকাতির পর লুটের টাকা ভাগাভাগি করে। দলের মোট সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জন, যারা ভিন্ন ভিন্ন ধাপে ডাকাতিতে অংশ নেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
এম.কে.