জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনায় বাবা মায়ের পর মারা গেছে মেঝো ছেলে মোহাম্মদ (১০)। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সে।
এরআগে, গত ২৪ নভেম্বর ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর এভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন রুমা আক্তার (৩২), তার স্বামী রঙ মিস্ত্রী আব্দুল খলিল (৪০), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মী মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, চিকিৎসাধীন এরআগে মোহাম্মদের বাবা খলিল ও মা রুমা মারা গেছেন। রোববার রাতে মারা গেছে মোহাম্মদ।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় ৩৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ ও ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ছোট ভাই ইসমাইল। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪ শতাংশ নিয়ে ভর্তি থাকলেও তার স্বামী শাহজাহানকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচী মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। গত ২৪ নভেম্বর ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
খলিলের ভয়রা আব্দুল হালিম জানা, ওইদিন ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।
তিনি জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।
আর কে