ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জাতীয়

জাতীয় বিভাগের সব খবর

বেক্সিমকো, এস আলমের সম্পদ না দেখেই ঋণ দিয়েছে ব্যাংক

বেক্সিমকো, এস আলমের সম্পদ না দেখেই ঋণ দিয়েছে ব্যাংক

বেক্সিমকো, এস আলমের মতো প্রতিষ্ঠানের ফাঁকা ব্যালান্সশিটে ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ব্যাংকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ব্যালান্সশিট দেখে ঋণ অনুমোদন করে। অ্যাসেট (সম্পদ) বিশেষ দেখে না। আর সিদ্ধান্ত নেয় লাঞ্চ ও ডিনারে বসে। বেক্সিমকো, এস আলমদের ক্ষেত্রে ব্যালান্সশিট দেখে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে; অ্যাসেট দেখা হয়নি। ফলে এখন তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না; সবই ফাঁকা।  শনিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘র‌্যাপিড ট্রানজিশন টু রিনিউয়েবলস: রোল অব ডমেস্টিক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।  এসময় তিনি বলেন, সরকার নতুন করে বেসরকারি খাতে আর কোনো স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদক (আইপিপি)  কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেবে না। এ খাতকে আসন্ন মার্চেন্ট পাওয়ার প্লান্ট নীতিমালার (এমপিপিপি) আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এসব কেন্দ্র থেকে সরকার সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ কিনবে। বর্তমান বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালার অধীনে স্থাপিত আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ সরকার কেনার নিশ্চয়তা দেয়। তবে উপদেষ্টা জানান, নতুন নীতিমালায় বেসরকারি উৎপাদকদের নিজস্ব ক্রেতাদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে।

শজিনা চাষে অপার সম্ভাবনা

শজিনা চাষে অপার সম্ভাবনা

শজিনা চাষে দিনাজপুরে দেখা দিয়েছে অপার সম্ভাবনা। যা ভূমিকা রাখছে পুষ্টি চাহিদা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে। দিনাজপুরের মাটি বেশিরভাগই সমতল ও উঁচু, যা শজিনা চাষের জন্য উপযোগী। অথচ এখন পর্যন্ত শজিনা চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেনি দিনাজপুর সদরসহ ১৩ উপজেলার চাষিগণ। শজিনা চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে আবাদ শুরু করার পরিকল্পনা নিলে মাটি পরীক্ষাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর। শীতকালীন সবজি শজিনা। শীতকালীন হলেও ভেষজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ শজিনার ডাঁটা এখন ফলে সব মৌসুমে। শজিনা ডাঁটা ভোজন রসিকদের বেশ পছন্দের খাবার। শজিনা পাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবহিতকরণ অব্যাহত রয়েছে। তাই শজিনা ডাঁটা ও পাতার দাম এবং চাহিদাও রয়েছে বেশ।  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুর বলেন, শজিনায় প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো এসিড থাকায় এটি ত্বকের এবং চুলের জন্য খুব উপকারী। সবজির চেয়ে শজিনা পাতার গুণাগুণ আরও বেশি।  মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুর রহমান  প্রতিবেদককে জানান, দিনাজপুর জেলা সদরসহ ১৩ উপজেলার অনেক এলাকার মাটি শজিনা গাছ রোপণের উপযোগী। তথাপি কেউ যদি বাণিজ্যিকভাবে শজিনা বাগান করায় আগ্রহী হন, তারা শজিনা বাগান করার আগে মাটি পরীক্ষা করতে তার দপ্তরের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান জানান, শজিনা গাছ রোপণে দিনাজপুরের সব উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তাদের চাষিদের উৎসাহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।    দিনাজপুরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, শজিনা ডাঁটা ও শজিনা পাতার চাহিদা ব্যাপক  বেড়েছে। দিনাজপুরের যেকোন জায়গায় শজিনা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে পণ্য বাজারজাতকরণে শজিনা চাষিদের সহযোগিতা করা হবে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কমল কৃষ্ণ রায় বলেছেন, বিরামপুরের বেশির ভাগ  জমি শজিনা গাছ লাগানো বা বাগান করার জন্য উপযোগী। ব্যক্তিগতভাবে বা বাণিজ্যিকভাবে শজিনা গাছ রোপণে তিনি কৃষকদের উৎসাহিত করে চলেছেন। এ বিষয়ে কৃষি দপ্তর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে এলাকায় শজিনা চাষে বিপ্লব ঘটবে। শজিনা চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।  শহরের শালবাগান এলাকার শজিনা চাষি মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ভারতের চেন্নাই থেকে উন্নত জাতের শজিনা বীজ এনেছিলেন। ফলন ভালই হয়েছে, এক-একটা শজিনা লম্বায় ৩ ফিটের অধিক হয়ে থাকে। এই উন্নত জাতের শজিনা গাছ পরবর্তীতে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ  শাহাবাজপুর বড় গ্রামে ২টি শজিনা গাছ লাগিয়েছেন। যাদের উঁচু জমি রয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে শজিনা বাগান করলে শজিনা ডাঁটা ও এর পাতা বিক্রি করে অন্যান্য ফলনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভবান হবে। বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কামার পাড়া শজিনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়ির সামনে ছোট-বড় শজিনার গাছ। উপকারভোগেী আনিছুর রহমান ও সাবিনা ইয়াসমিন জানান, কয়েক বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিস প্রতিটি বাড়ির সামনে সরকারিভাবে চারা রোপণ করেন। তার ফল এখন তারা ভোগ করছেন, শজিনা নিজেরা খাচ্ছেন, আবার বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন। তবে তারা বলেছেন, বারোমাসি শজিনা গাছ লাগালে আরও ভাল দাম পাওয়া যাবে।  বিরামপুর উপজেলা চত্বরের সামনে  কলেজিয়েট স্কুল পাড়ায় প্রায় ১ একরের বেশি জমিতে সমবায় ভিত্তিতে শজিনা বাগান হয়েছে। এখানকার প্রতিটি বাড়ির পক্ষ থেকে ২ থেকে ৫টি শজিনা গাছ লাগানো হয়েছে, জানিয়েছেন স্কুলের সামনের দোকানি আনিছুর রহমান। শহরের পলাশবাড়ী রেলগেট থেকে ঘোড়াঘাট রেলগেট পর্যন্ত রেললাইনের দুপাশে সরকারি জমিতে দুই শতাধিক শজিনা গাছ লাগিয়েছেন ভুমিহীন তৈমূর নামে এক উদ্যোক্তা। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ফলন শুরু হলে আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় অনেকে, আবার শজিনা গাছগুলোও ভেঙে দেয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার  ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আজ রবিবার। রায় ঘোষণার জন্য বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কার্য তালিকায় মামলা দুইটি ৫৪ ও ৫৫ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।  ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড  হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।  তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান। গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এই ঘটনায় আনা মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দ- দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দ-িত কারাবন্দিরা আপিল দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুইটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন।

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ বাংলার ঘরে ঘরে...

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ বাংলার ঘরে ঘরে...

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ/খুশির হাওয়ায় ঐ উড়ছে/বাংলার ঘরে ঘরে/মুক্তির আলো ঐ ঝরছে...। ১৯৭১ সালে বিজয়ের মুহূর্তে অমর এই গান রচনা করেছিলেন শহীদুল ইসলাম। অনবদ্য সুরে বেঁধেছিলেন সুজেয় শ্যাম। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গানটি বেজে চলেছে। বিশেষ করে ডিসেম্বর এলে একদিকে জাতীয় পতাকা উড়তে থাকে, অন্যদিকে বাজতে থাকে প্রেরণাসঙ্গীত। হ্যাঁ, এখন সেই সময়। আজ ১ ডিসেম্বর, মানে, মহান বিজয়ের মাস শুরু হলো। ঐতিহাসিক আবেগঘন মুহূর্তে বাাঙলির মনে যুদ্ধজয়ের নানা স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে। মনে পড়ছে বাাঙলির লড়াই সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস।  সেই ১৯৪৭ সালে দুর্ভাগ্যজনক দেশভাগের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান নামক অবাস্তব এক রাষ্ট্রের। এর পরও নতুন ভৌগোলিক পরিচয় মেনে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল বাঙালি। কিন্তু অচিরেই রূপ পালাটাতে থাকে পাকিস্তানিরা। এক বছরের মধ্যে ১৯৪৮ সালে মায়ের ভাষা বাংলার ওপর আঘাত হানে তারা। এ অবস্থায় ভাষার অধিকার রক্ষায় গর্জে উঠতে হয় বাঙালিকে। একই সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলে নানা ষড়যন্ত্র। সব দিক থেকে বৈষম্যের শিকার হতে থাকে এই অংশের মানুষ। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে রুখে দাঁড়ায় তারা। সংগ্রামের পথ বেছে নেয়।

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে

সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও ইসকনের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘে জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ও জেনেভায় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে একথা জানান। শুক্রবার রাতে ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘের সংখ্যালঘু ফোরামের ১৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি যে শ্রী চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কিছু বক্তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাকে আসলে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তখন আমরা অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রতিবেদন এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করছি। দুঃখজনকভাবে, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি।’ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক মিডিয়া এই ধরনের অনেক প্রপাগান্ডা নাকচ করে দিয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখার জন্য বিদেশী সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশীর, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্ম পালন করার বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ভিত্তি।’ রাষ্টদূত ইসলাম বলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের ধর্মের অধিকার বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করেছে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বারবার প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুইজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।  রাষ্ট্রদূত বলেন, একজন মুসলিম আইনজীবীর সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকা- সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সকল ধর্মের নেতাদের সমর্থন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে এবং যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণœ করার যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে যাবে।’ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্ট পরবর্তী সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। এই সহিংসতা জনগণকে প্রভাবিত করেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। তাদের প্রায় সকলেই মুসলিম, কেবল মুষ্টিমেয় কিছু অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো পরিকল্পিত আক্রমণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বরং, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ব দেখেছে কিভাবে বাংলাদেশের গোটা সমাজ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ঐতিহ্য মেনে সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সকল ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন ম্যান্ডেট উপভোগ করছে।