
ছবিঃ সংগৃহীত
ছোট, রঙিন সামুদ্রিক পাখি পাফিনদের সম্মানে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল, পালিত হয় পাফিন ডে। চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য!
পাখিটি দেখতে কেমন?
পাফিন দেখতে ছোট এবং সাদা-কালো পালকে মোড়া। তবে সবচেয়ে নজরকাড়া অংশ হলো তাদের রঙিন ঠোঁট, যা প্রজনন মৌসুমে আরও উজ্জ্বল হয়। ঠোঁটের লাল, কমলা, হলুদ রঙ ও দাগ তাদের আলাদা করে তোলে।
তাদের প্রজাতি
পাফিনদের রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতি- যেমন আটলান্টিক পাফিন, হর্নড পাফিন, টাফটেড পাফিন ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকের আচরণ ও বাসস্থান আলাদা।
কোথায় পাওয়া যায়?
পাফিনদের প্রধানত পাওয়া যায় উত্তর আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ঠান্ডা উপকূলীয় অঞ্চলে। তারা সমুদ্রেই বেশিরভাগ সময় কাটায় এবং শুধুমাত্র বংশবৃদ্ধির জন্য ভূমিতে আসে।
সাঁতার কাটার দক্ষতা
পাফিন হলো সেই বিরল পাখিদের মধ্যে একটি পাখি, যারা পানির নিচেও চমৎকারভাবে শিকার করতে পারে। তাদের ডানার সাহায্যে তারা পানিতে দারুণভাবে সাঁতার কাটে।
ওড়ার ক্ষমতা
হাঁটার সময় পাফিনকে কিছুটা এলোমেলো মনে হলেও, ওড়ার সময় তারা দারুণ ফাস্ট! তারা ডানা পাতে প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ বার ফ্ল্যাপ করতে পারে, যা তাদের শক্তিশালী উড়ুক্কু বানায়।
বাসা বাঁধা ও যুগলবন্দি হওয়া
পাফিনরা প্রায় প্রতি বছরে একই বাসায় ফিরে আসে। এরা বেশ বিশ্বস্ত সঙ্গী। একবার জুটি বাঁধলে সারা জীবন সেই সঙ্গীর সাথেই থাকে।
ঠোঁটের রঙিন রহস্য
পাফিনের ঠোঁট সবসময় কিন্তু এত রঙিন থাকে না। শুধুমাত্র প্রজনন মৌসুমে ঠোঁট লাল বা কমলা রঙ ধারণ করে, যা তাদের সঙ্গী আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
পাফিন শুধু দেখতে মিষ্টিই নয়, তাদের জীবনযাপন, প্রেমের আদর্শ, সাঁতার আর উড়ার দক্ষতা সবই মন ছুঁয়ে যায়।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরশি