
ছবিঃ সংগৃহীত
এমন কয়েকটি প্রানী আছে যারা খাওয়ার পরপরই পুনরায় খাবার খুঁজতে শুরু করে। কখনোই এরা খাবার ছাড়া থাকে না। চলুন, জেনে নেই এমন দশটি প্রানী সম্পর্কে
১. তাসমানিয়ান ডেভিলস
এই মাংসাশী মারসুপিয়াল প্রায় সবকিছুই খেতে পারে। আকারের তুলনায় এর ক্ষুধা অসাধারণ—মাত্র ৩০ মিনিটেই নিজের ওজনের ৪০% পর্যন্ত খাবার খেয়ে ফেলতে পারে!
২. র্যাকুনস
আপনি কি কখনও র্যাকুনকে ডাস্টবিনে তছনছ করতে দেখেছেন? এই নিশাচর সর্বভুক প্রাণীগুলো খুবই বুদ্ধিমান, এবং খাবারের জন্য বন, বাড়ির পেছনের উঠান এমনকি শহরের রাস্তাঘাটও তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়ায়।
৩. বল্ড ঈগলস
এই শিকারি পাখিরা সাধারণত টাটকা মাছ খেতে পছন্দ করে, তবে প্রয়োজনে মৃত প্রাণীর দেহ থেকেও খাবার খুঁজে নিতে দ্বিধা করে না। তাদের চোখ অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, এবং তারা শিকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক নিমেষেই।
৪. পিরানহা
এই শক্তিশালী মাছগুলো দলবদ্ধভাবে শিকার করে। তাদের ধারালো দাঁত দিয়ে মুহূর্তেই শিকার ছিঁড়ে খেতে পারে। অনেকেই ভুল বোঝে, তবে ওরা আসলে সুযোগসন্ধানী খাদ্যগ্রাহী। তবে ক্ষুধার্ত অবস্থায় এদের খাওয়ার দৃশ্য সত্যিই ভয়ংকর!
৫. নেকড়ে
নেকড়েরা পরিচিত দলগত শিকারের জন্য। তারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে হরিণ বা এল্কের মতো শিকার খুঁজে বেড়ায়। খাবারের জন্য এদের নিরলস খোঁজ তাদের টিকে থাকার অদম্য শক্তি ও টিমওয়ার্কের প্রমাণ।
৬. কমোডো ড্রাগনস
এই বিশাল আকারের সরীসৃপ খুবই দক্ষ শিকারি। ধৈর্যের সাথে শিকার অপেক্ষায় থাকে এবং আক্রমণ করে এক লাফে। এদের বিষ ও অসীম ক্ষুধা একে ভয়ঙ্কর শিকারিতে পরিণত করেছে—একবারে নিজেদের ওজনের ৮০% পর্যন্ত খেয়ে ফেলতে পারে!
৭. গ্রেট হোয়াইট শার্কস
এই বিশাল সামুদ্রিক শিকারিরা খাবারের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে পড়ে। সিল, মাছ এমনকি মৃত তিমিও এদের মেনুতে থাকে! এদের খিদে ও শক্তিশালী শরীর সমুদ্রজগতে এদের শাসক করে তোলে।
৮. হামিংবার্ডস
এই ক্ষুদ্র পাখিগুলো ক্রমাগত ডানা ঝাপটায় এবং সবসময় শক্তির খোঁজে থাকে। এরা ফুল থেকে মিষ্টি রস পান করে এবং প্রতিদিন নিজেদের ওজনের দ্বিগুণ পর্যন্ত খেয়ে ফেলে!
৯. সিংহ
জঙ্গলের রাজা সিংহরা একটানা শিকার করে। হরিণ শিকার হোক বা মৃতদেহ খোঁজা—তাদের প্রতিদিন গড়ে ১৫ পাউন্ড মাংস লাগে। এই খাবারই তাদের শাসনের জ্বালানি।
১০. হায়েনা
হায়েনা প্রায় সবকিছু খেতে পারে—এমনকি হাড় পর্যন্ত চিবিয়ে ফেলে শক্তিশালী চোয়ালের সাহায্যে। শিকার পেলেই লুফে নেয়, তবে বেশিরভাগ সময়ই মৃতদেহ scavenging করেই দিন কাটায়।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরশি