
ছবিঃ সংগৃহীত
রোজায় ইফতারি তে কী খাবেন এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডা. তাসনিম জারা।
শুরুতেই বলি ইফতারিতে কী কী খাবেন? অনেকেই ইফতারি শুরু করেন খেজুর দিয়ে, এটা খুব ভালো একটা অভ্যাস৷ খেজুরে ন্যাচারাল সুগার আছে। আপনাকে দ্রুত সারাদিনের ধকল কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সেই সাথে ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য উপকারী। রোজায় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, তাদের উপকারে আসবে।
খেজুরের পরিবর্তে বা খেজুর খাওয়ার একটু পরে অনেকে চিনির শরবত বা চিনি দিয়ে বানানো জুস খান। এসবের পরিবর্তে পানি খাওয়া ভালো। যাদের সুযোগ আছে ডাবের পানি খেতে পারেন। ডাবের পানিতে পটাসিয়াম থাকে, আবার সারাদিনে ঘামের জন্য যে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়, তা মেটাতে সাহায্য করে।
শরবতের পরিবর্তে বাসায় বানানো ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। তবে জুস বানানোর সময় চিনি দিবেন না। দোকান থেকে কেনা জুসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকতে পারে, তাই বাসায় বানানো ফলের জুস খেতে পরামর্শ দিচ্ছি।
কেন চিনির শরবত বা চিনি দিয়ে বানানো শরবত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি?
আমাদের শরীরে আলাদা করে চিনি খাওয়ার কোন প্রয়োজন বা উপকারিতা নেই। বরং অতিরিক্ত চিনি খেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে ফলমূল সবচেয়ে ভালো অপশন।
খেজুর আর পানি খাওয়ার পরে কিছু ফলমূল খেতে পারেন। নির্দিষ্ট কোন ফল নেই, যা খুশি খেতে পারেন। প্রতি ফলে আলাদা পুষ্টিগুণ থাকে, তাই পরিবর্তন করে খাওয়া ভালো।
এতক্ষণে গেল ৩টা খাবার- খেজুর, পানি ও ফলমূল।
অনেকে এই সময় পেয়াজু, বেগুনি এই সকল খাবার খান। এই খাবারগুলো ডুবোতেলে ভাজা, স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। এই খাবারগুলোর মধ্যে বেশি পরিমাণ ট্রান্স ফ্যাট থাকার সম্ভাবনা আছে। ট্রান্স ফ্যাট হলো সবচেয়ে বিপজ্জনক ফ্যাট। এই ফ্যাট অল্প পরিমাণে খেলেও অনেক বড় ক্ষতি করে৷
গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি দিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি খান, তার মাত্র দুই শতাংশও যদি ট্রান্স ফ্যাট থেকে আসে তাহলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে ২৩%।
এছাড়াও ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স তৈরি করে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়। সারাদিন রোজা রেখে এই খাবারগুলো না খাইয়াই উত্তম। জিলাপি, বুন্দিয়া এই খাবারগুলোও তেলে ভাজা ও চিনি দেয়া। এই খাবারগুলো এড়িয়ে গেলে ভালো।
রিফাত