ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ইতিহাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আঘাত! যেখানে বাংলাদেশের নাম  

প্রকাশিত: ২১:৫১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:৫২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইতিহাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আঘাত! যেখানে বাংলাদেশের নাম  

ছবি: সংগৃহীত

নাসা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি বিশাল আকৃতির গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছিল, যার নামকরণ করা হয়েছে ২০২৪ YR4। সম্প্রতি এটি পৃথিবীর জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এই গ্রহাণুটি সাধারণ কোনো মহাকাশীয় পাথর নয়, বরং এটি একটি বিশাল ‘সিটি কিলার’ গ্রহাণু, যার আকার নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির সমান। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ২০৩২ সালে এটি পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথমদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন যে এটি পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুব কম, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এর ঝুঁকি আসলে পূর্বের ধারণার চেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা এখন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন, যদিও কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গ্রহাণুকে সরানোর প্রচেষ্টা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

গ্রহাণুটি যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তবে এটি আট মিলিয়ন টন টিএনটি বিস্ফোরণের সমান শক্তি উৎপন্ন করতে পারে, যা ৩০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহাণুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে নয়টি দেশের উপর, যেগুলো হলো—ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডর।

যদি এটি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে বিস্ফোরণের শক্তি ৫০০টি পারমাণবিক বোমার সমান হবে এবং আটটি প্রধান শহর—বোগোটা, আবিদজান, লাগোস, খার্তুম, মুম্বাই, কলকাতা ও ঢাকা—মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। প্রায় ১১ কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

এই গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ২.৬% থেকে বেড়ে ৩.১% হয়েছে, যা ইতিহাসে কোনো বৃহৎ গ্রহাণুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে, ৯৯৯৪২ অ্যাপোফিস নামক এক গ্রহাণুকে ২০২৯ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ২.৭% ছিল, যা পরে বাতিল করা হয়।

বর্তমানে ২০২৪ YR4 পৃথিবী থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে নিরাপদ কক্ষপথে রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এটি আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

শিলা ইসলাম

×