ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

পরকীয়া: সম্পর্কের অন্তিম পরিণতি ও এর প্রতিকার

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পরকীয়া: সম্পর্কের অন্তিম পরিণতি ও এর প্রতিকার

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে। তবে যখন এই ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যায়, তখন সম্পর্কের ওপর কালো ছায়া ফেলে পরকীয়ার মতো বিশ্বাসঘাতকতা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পরকীয়ার কারণে দাম্পত্য ও প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরকীয়ার কারণ:

পরকীয়ার মূল কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করছেন—
* যোগাযোগের অভাব: দম্পতিদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা ও বোঝাপড়ার অভাব হলে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
* অসন্তুষ্টি ও একঘেয়েমি: দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসলে অনেকেই নতুনত্বের খোঁজে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
* প্রযুক্তির প্রভাব: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলা আগের চেয়ে সহজ হয়ে গেছে।

পরকীয়ার পরিণতি

পরকীয়া কেবল ব্যক্তিগত জীবন নয়, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
* বিচ্ছেদ ও মানসিক কষ্ট: পরকীয়ার কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যায়, যার ফলে সন্তানদের ওপরও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে।
* আত্মবিশ্বাসের অভাব: প্রতারিত ব্যক্তি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, যা তার আত্মবিশ্বাসের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
* সামাজিক কলঙ্ক: সামাজিকভাবে এটি একটি নিন্দিত কাজ, যা ব্যক্তি ও তার পরিবারের জন্য অপমানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধ ও সমাধান

* খোলামেলা আলোচনা: সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করলে ভুল বোঝাবুঝি কমে যায়।
* বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বজায় রাখা: সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বজায় রাখা পরকীয়া রোধ করতে পারে।
* পরামর্শ গ্রহণ: সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বা মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।

পরকীয়া শুধু একটি সম্পর্ককেই নয়, বরং পুরো জীবনকেই এলোমেলো করে দিতে পারে। তাই সচেতনতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আসিফ

×