ছবিঃ সংগৃহীত
জাপানে বাংলাদেশিদের যাওয়ার প্রক্রিয়াটি একেবারে সহজ নয়, তবে এটি অসম্ভবও নয়। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে জাপান যাওয়াটা তুলনামূলক সহজ হতে পারে।
জাপানে বাংলাদেশিদের যাওয়ার উপায়:
স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa): জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করলে তুলনামূলক সহজে যাওয়া যায়। তবে জাপানি ভাষার দক্ষতা থাকা দরকার।
SSW (Specified Skilled Worker) ভিসা: জাপানে দক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষ ভিসা, যেখানে জাপানি ভাষার দক্ষতা ও নির্দিষ্ট সেক্টরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
ওয়ার্কিং ভিসা (Work Visa): কোম্পানি থেকে স্পনসরশিপ পেলে কাজের ভিত্তিতে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া যায়।
ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং ভিসা: কিছু ক্ষেত্রে ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপানে যাওয়া যায়।
ব্যবসায়িক ভিসা: যদি আপনার নিজস্ব ব্যবসা থাকে, তাহলে ইনভেস্টর বা বিজনেস ভিসার মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব।
পারিবারিক স্পন্সরশিপ: যদি আপনার আত্মীয় জাপানে থাকে এবং স্পনসর করতে পারে, তাহলে আপনি সহজে যেতে পারবেন।
কেন কঠিন মনে হয়?
ভিসা প্রসেস জটিল: স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক বা SSW ভিসার জন্য অনেক নথিপত্র ও যোগ্যতা প্রয়োজন।
জাপানি ভাষার বাধা: বেশিরভাগ কাজের ক্ষেত্রেই জাপানি ভাষা জানতে হয়।
বৈধ কোম্পানির অভাব: অনেক এজেন্সি প্রতারণা করে, তাই ভালো কোম্পানি খুঁজে বের করাটা কঠিন।
অর্থনৈতিক প্রস্তুতি: জাপান ব্যয়বহুল দেশ, তাই শুরুতে টাকার যোগান থাকা দরকার।
বাংলাদেশিদের জন্য সুবিধা:
*বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সফলভাবে গিয়েছে।
*SSW এবং স্টুডেন্ট ভিসায় সুযোগ বাড়ছে।
*জাপানের কর্মী সংকটের কারণে বিদেশি কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
*জাপানি সরকার বিদেশিদের জন্য নিয়ম সহজ করছে।
আপনার করণীয়:
*ভালো এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজুন।
*জাপানি ভাষা শেখার চেষ্টা করুন।
*সঠিক ভিসার জন্য প্রস্তুতি নিন।
*প্রতারণার শিকার এড়িয়ে চলুন।
আপনি যদি সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন, তাহলে জাপানে যাওয়া কঠিন নয়, বরং সম্ভব।
রিফাত