ছবিঃ সংগৃহীত।
হরিণের শরীরে একটি বিশেষ গ্রন্থী থাকে, যেটি থেকে কস্তুরী নামক এক ধরনের সুগন্ধি উৎপন্ন হয়। এই কস্তুরী হরিণের শরীরের গ্রন্থী থেকে পারফিউম তৈরি করা হয়, যা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। তবে এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং জটিল। কস্তুরী সংগ্রহ করতে, অনেক সময় হরিণটিকে হত্যা করা হয়, যা অনেকের কাছেই নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।
এটি সংগ্রহ করতে, দুই হাজারেরও বেশি হরিণের শরীর থেকে কস্তুরী সংগ্রহ করতে হয়, যা এক কেজি কস্তুরী উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয়। এই পরিমাণ কস্তুরী উৎপাদন করতে, প্রায় ২০০০টি হরিণের জীবন উৎসর্গ করতে হয়, কারণ প্রতিটি হরিণ থেকে খুবই সীমিত পরিমাণ কস্তুরী পাওয়া যায় (কেবল কিছু গ্রামের অংশ থেকেই)। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং হরিণের জীবনহানির কারণ হয়, যা পশু অধিকার কর্মীদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
এই গ্রন্থীটি থেকে কস্তুরী সংগ্রহ করতে হরিণদের হত্যা করার প্রথাটি অনেক দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে কিছু স্থান এখনও এই নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে কিছু পারফিউম কোম্পানি কৃত্রিম কস্তুরী ব্যবহার করছে, অথবা কস্তুরী হরিণের গ্রন্থী সংগ্রহের জন্য নৈতিকভাবে নিরাপদ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। তবে, প্রাকৃতিক কস্তুরীর তুলনায় কৃত্রিম কস্তুরী অনেক কম ব্যবহৃত হচ্ছে, কারণ এটি পরিবেশ এবং পশু কল্যাণের প্রতি আরও যত্নশীল মনোভাব প্রদর্শন করে।
কস্তুরী একটি অতি মূল্যবান এবং সুগন্ধি উপাদান, যা সাধারণত কস্তুরী হরিণের শরীরের বিশেষ গ্রন্থী থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই কস্তুরী খুবই শক্তিশালী একটি সুগন্ধি উপাদান, যা পারফিউম, মেক-আপ এবং অন্যান্য সৌন্দর্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে, কৃত্রিম কস্তুরী বা সিন্থেটিক কস্তুরী তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রকৃত কস্তুরী ব্যবহার কমিয়ে আনা যায় এবং হরিণদের ক্ষতি রোধ করা যায়। যদিও কিছু বিশেষ পারফিউম ব্র্যান্ড এখনও প্রাকৃতিক কস্তুরী ব্যবহার করে, তবে পরিবেশ এবং পশু কল্যাণের দিক থেকে এটি একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Faruk