ছবি: সংগৃহীত
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিশ্বাস, ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার উপর নির্ভরশীল। কিন্ত জানলে অবাক হবেন, কখনো এই সম্পর্ক জাদুর মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব হয়। যদিও ইসলামিক দৃষ্টিতে জাদু কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জাদুর মাধ্যমে সম্পর্ক ভাঙ্গার নজির আমরা প্রায়ই দেখতে পাই।
বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের মধ্যে জাদুর ৩ টি লক্ষণ বেশি দেখা যায়। তাই এই প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে সতর্ক থাকা ও সঠিক ধর্মীয় পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
জাদু সাধারণত হিংসা, লোভ ও অহংকারের কারণে করা হয়। যারা এই কাজ করেন, তারা প্রথমে ভুক্তভোগীর কাছের মানুষ হিসেবে প্রবেশ করেন। প্রথমদিকে তাদের ব্যবহারে এত মধু থাকে যে, ভুক্তভোগী মনে করে তারা অনেক আপন। এই বিশ্বাস অর্জনের পরেই জাদুর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জাদুকরী প্রথমে খাবারের মাধ্যমে খাবার জ্বীন ভুক্তভোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। এই খাবারে তেল, পানি, চিনি, লেবু, ডিম ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে এরা ব্যক্তিগত জিনিস সংগ্রহ করবে। ভুক্তভোগীর চুল, নখ বা পোশাকের বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করা হয়। এরপর কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে পুতে রাখা হয়৷ পরের ধাপে করা হয় পুতুলের জাদু। এ পর্যায়ে পুতুলে সুই গেথে তা নদীতে বা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের কাপড় বা প্যাড পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। কারণ, রক্তের উপর জ্বীনের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এরপর দেখা হয় জাদুর ভয়াবহ লক্ষণ সমূহ।
প্রথমেই সম্পর্কে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। স্বামী বা স্ত্রী হঠাৎ করে এক অপরের উপর রাগান্বিত হয়ে যায়। সামান্য বিষয়ে রাগে ফেটে পরা বা ঘৃণার অনূভুতি জেগে উঠে। আগে যেখানে সম্পর্ক সুন্দর ছিলো, সেখানে এখন ডিভোর্সের চিন্তা পায়।
পরবর্তীতে আসে শারিরীক ঘনিষ্ঠতায় অনীহা। স্বামী-স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। একজন আরেকজনকে স্পর্শ করলে বিরক্তি ও ঘৃণা তৈরি হয়। বাইরে অন্য কারো প্রতি আকর্ষণ থাকলেও স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি সেই আকর্ষণ থাকে না।
ডিভোর্সের প্রবণতা বেড়ে যায়, এই সময়ে ডিভোর্সের চিন্তা বেশি আসে মাথায় ও একটা সময়ে দেখা যায় ডিভোর্স হয়ে যায়।
প্রতিকার:
রুকাইয়া বা ধর্মীয় চিকিৎসা। জাদু থেকে মুক্তির জন্য রুকাইয়া ই সর্বোত্তম পদ্ধতি। কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী দোয়া ও আমল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হয়ে নিয়মিত ইবাদত ও তওবা করতে হবে। নিজের খাবার, পোশাক ও ব্যক্তিগত জিনিস সাবধানে রাখা।
রিফাত