ছবি: সংগৃহীত
আমাদের সমাজে নারীরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোকে আমরা প্রায়ই দোষারোপ করি, যা অনেকাংশে যৌক্তিক। তবে সমাজের এই অবক্ষয়ের পেছনে নারীরাও কখনো কখনো ভূমিকা রাখে, যা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
আজকাল দেখা যায়, কিছু নারী বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। বিষয়টি অনেক সময়ই এমনভাবে ঘটছে যেখানে এক নারীর কারণেই আরেক নারীর সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এটি নারীদের প্রতি নারীদের দায়িত্বহীনতার একটি দৃষ্টান্ত। নারীর সহজাত প্রবৃত্তি বা ব্যক্তিগত চাহিদার কারণেই অনেক সময় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পরকীয়ার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যাওয়া নারীরা একসময় নিজেরাও প্রতারিত হওয়ার ভয় ও ইনসিকিউরিটির মধ্যে পড়েন। একটি বড় বাস্তবতা হলো, যিনি একজনকে প্রতারণা করতে পারেন, তিনি দ্বিতীয়বারও করতে পারেন। সৌন্দর্য সাময়িক, কিন্তু মেধা, প্রজ্ঞা, এবং ব্যক্তিত্ব স্থায়ী গুণাবলি। এটি না বুঝে অনেকেই সাময়িক আকর্ষণের ফাঁদে পা দিয়ে জীবনের মূল্যবান সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেন।
অফিস বা অন্যান্য কর্মস্থলে পরকীয়ার ঘটনা প্রায়ই চোখে পড়ে। তবে, এই অবস্থা দেখে অধিকাংশ মানুষ এড়িয়ে যান, কেউ প্রতিবাদ করেন না। সমাজে নৈতিকতার জায়গা যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে এর প্রভাব সমাজের সর্বস্তরে পড়তে বাধ্য।
পরকীয়া বন্ধ করতে শুধু পুরুষদের দায়ী করলেই হবে না, নারীদেরও তাদের দায়িত্ব বোঝা জরুরি। এক নারীর প্রতি আরেক নারীর সম্মানবোধ থাকতে হবে। একইসঙ্গে নিজেদের মেধা ও ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পরকীয়া শুধু দুটি মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পুরো সমাজকে প্রভাবিত করে। সমাজে সুশৃঙ্খল এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে সবারই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমাদের সমাজে পরকীয়ার বাস্তবতা এবং এর ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করে এখনই সচেতন হতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিত্ব, মেধা এবং সম্মান রক্ষা করে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
রিফাত