ছবি: সংগৃহীত।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বৈদ্যুতিক যুগে এক সময়ের জনপ্রিয় এই কুপি বাতি আজ অতীতের স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে।
এককালে গ্রামীণ জীবনে অন্ধকার দূর করার একমাত্র ভরসা ছিল কুপি বাতি। গৃহিণীরা রাতের গৃহস্থালির কাজ করতেন এই আলোতে, আর ছেলে-মেয়েরা উঠোনে, বারান্দায় বা ঘরে বসে পড়াশোনা করত। রাস্তায় চলাচলেও ছিল এর বিশেষ ব্যবহার।
কুপি বাতির কেরোসিন তেল সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বাড়িতে থাকত বিশেষ ধরনের কাঁচের বোতল। বোতলের গলায় রশি লাগিয়ে সেটি ঝুলিয়ে রাখা হতো বাঁশের খুঁটিতে। তবে আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কুপি বাতি আজ বিলুপ্তির পথে।
একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে আলো দিত এই কুপি বাতি। কিন্তু আজ তা হারিয়ে গিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, সোলার প্ল্যান্ট, চার্জার লাইট, চার্জার ল্যাম্পসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি।
কুপি বাতি ছিল বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের। এগুলো তৈরি করা হতো কাঁচ, মাটি, লোহা বা পিতল দিয়ে। মানুষ তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কুপি বাতি কিনে ব্যবহার করত। সাধারণত বাজারে দুটি ধরনের কুপি পাওয়া যেত। বেশি আলোর প্রয়োজন হলে কুপি বাতিগুলো কাঠ বা মাটির তৈরি গাছা বা স্ট্যান্ডের ওপর রাখা হতো। এই গাছা বা স্ট্যান্ডগুলোও ছিল বিভিন্ন আকৃতির ও ডিজাইনের।
কবি মাহফুজ রিপন বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহারের ফলে কুপি বাতির কদর হারিয়ে গেছে। ‘কুপি বাতি’ এখন সোনালি অতীতের স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষ সৌর বিদ্যুৎ বা চার্জার লাইটের ওপর নির্ভর করে। আগামীর প্রজন্মের কাছে কুপি বাতি শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সায়মা ইসলাম