ছবি : সংগৃহীত
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিগ্রাম হাসন হাওলাদারের কন্যা ফিরোজা বেগম (৪০)। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। বাবাকে হারিয়েছেন জন্মের পরেই। পিতার মৃত্যুর পরে সংসারে হাল ধরেন বড় ভাই সালাম হাওলাদার। পিতার মৃত্যুর পরে অভাবের সংসারে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ফিরোজা বেগম ২০০০ সালে ঢাকায় পাড়ি জমায়।
তিনি ঢাকায় রামপুরা একটি গার্মেন্টসে কর্মী ছিলেন। পারিবারিকভাবেই ফিরোজা বেগমের ১৬ বছর আগে বিবাহ হয়েছিল বাবুগঞ্জ উপজেলার আলতাফ হোসেনের সাথে। স্বামীর সংসারেও ফিরোজা বেগমের উপর নির্যাতন আর অভাব অনাটনে ফিরোজা বেগম আবারো ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি নেন। আজ থেকে ছয় বছর আগে ফিরোজা বেগম ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরলে সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হন। যাত্রীবাহী বাস তুরাগ তাকে চাপা দিলে পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা যায়। দীর্ঘদিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসা নিলে কিছুটা সুস্থ হলে ফিরোজা বেগম বরিশালের বাকেরগঞ্জে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ফিরোজা বেগম পঙ্গু হওয়ার পরে স্বামী আর তার খোঁজখবর রাখেনি। কয়েক বছর আগে তার স্বামীও মৃত্যুবরণ করেছেন। অসহায় ফিরোজা বেগম তার বাবার বাড়িতে একটি ঝুপড়ির ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফিরোজা বেগমের সংসার চলে ভিক্ষা করে। ১৫ বছর বয়সের ছেলে ফেরদৌস ঢাকাতে একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে রয়েছে। সামান্য কিছু বেতন পেয়ে মাঝেমধ্যে মায়ের খবর নেয়। অসহায় ফিরোজা বেগম ৬ বছর ধরে পঙ্গু অবস্থায় রয়েছেন। টাকার অভাবে তার পায়ের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বাবা-মা,স্বামীকে হারিয়ে যেন অকূল দরিয়ায় পড়ে ৬ বছর ধরে সেই অসুস্থতা নিয়ে কাটছে তার সময়। ফিরোজা বেগমের গ্রামের দিনমজুর বাবার ভিটা ছাড়া কোনো জায়গা-জমি নেই। নিজে যখন সুস্থ ছিলেন তখন গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার চালাতেন। এখন চিকিৎসার অভাবে মরতে পড়েছেন ফিরোজা বেগম।
ফিরোজা বেগম জানান, হৃদয়বান মানুষদের থেকে অর্থ সহায়তা পেলে চিকিৎসা করাবেন। হয়তো এতে বেঁচে যাবে তার জীবন। পৃথিবীতে অন্য দশজনের মতো সেও স্বাভাবিক জীবন কাটাবে। ফিরোজা বেগম তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ জানান, ফিরোজা বেগমের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ফিরোজা বেগমের সহায়তার জন্য নগদ একাউন্ট নাম্বার - 01724029939 (ফিরোজা বেগম)
জিয়াউল হক/মো. মহিউদ্দিন