ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

প্রবাসীর পাঠানো স্বর্ণ আত্মসাৎ: তদন্তে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার 

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৮:১৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রবাসীর পাঠানো স্বর্ণ আত্মসাৎ: তদন্তে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার 

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

দুবাই প্রবাসী মো. সামীম সানার কষ্টার্জিত অর্থে কেনা ২০১ গ্রাম স্বর্ণালংকার দেশে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করেছে ‘আন্তর্জাতিক লাগেজ পার্টি’র ঢাকার একটি চক্র। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা আমিরুজ্জামান আমিরের (৪৮) বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী।

তবে অভিযোগের তদন্তে গেলে পুলিশকে ঘটনার সত্যতা শিকার করে স্বর্ণালংকার ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন প্রতারক আমির। কিন্তু পরবর্তীতে স্বর্ণ ফেরত না দিয়ে উলটো বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশসহ ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতারক চক্রটি। এ ঘটনায় পুলিশের আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ডিসি মিরপুরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সানা। 

অভিযোগপত্রে সানা উল্লেখ করেন, ২৬ লাখ টাকার ২০১ গ্রাম স্বর্ণালংকার দুবাই থেকে ক্রয় করে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মো. আমিরুজ্জামান আমিরের জিম্মায় দেন। আমির স্বর্ণালংকার তার আত্মীয় মো. ইব্রাহীম খান রানা ও জহির আহম্মেদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। যার ভিডিও ফুটেজ অডিও প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে। তারা ২৮ মার্চ স্বর্ণ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয় এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ দিলে পল্লবী থানা  পুলিশ আমিরের অফিসে তদন্তে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি মালামাল গ্রহণের কথা স্বীকার করে মীমাংসার কথা বললে পুলিশ ফিরে আসে। কিন্তু এরপর সে পুলিশ ও আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচার চালায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আমির একজন ভূমিদস্যু ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পল্লবীসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দেন এবং আন্তর্জাতিক লাগেজ ব্যবসার সাথেও জড়িত।
ভুক্তভোগী সানা বলেন, চক্রটি ভয়ংকর একটি প্রতারণা চক্র। তারা আমাকে স্বর্ণ ফেরত তো দিচ্ছেই না, উল্টো আমাকেসহ পুলিশকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমিরের বিরুদ্ধে মিরপুর এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও ভূমিদখলসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে এর আগে গ্রেপ্তারও হয়েছে বলে জানান তিনি। 

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিবাদির অফিসে তদন্তে যায়। বিবাদী সে সময় মীমাংসার আশ্বাস দিলে পুলিশ চলে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশসহ ভুক্তভোগীর নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়রদের পরামর্শে রবিবার মামলা হয়েছে। মামলা নং ৬৮।  

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছেদুর রহমান বলেন, শামীম সানা নামের এক প্রবাসী অভিযোগ দিয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিতে পল্লবী থানায় অভিযোগটি পাঠিয়েছি।

ফজলুর রহমান/ফারুক

×