
ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ৪০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন যে এই আক্রমণ "শুধুমাত্র শুরু," এবং দুই মাসের কম স্থায়ী হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও সংঘর্ষের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহে রাতভর হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল নতুন করে জোরপূর্বক স্থানান্তরের আদেশ জারি করেছে, যা হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, "গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আমি ক্ষুব্ধ।" মানবাধিকার সংগঠনগুলো ক্রমাগত সতর্ক করছে যে মাটিতে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮,৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১২,০৪১ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, বাস্তব মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এর বেশি, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করছে যে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতেই তাদের সামরিক অভিযান চলছে, যা ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার পর শুরু হয়। ওই হামলায় কমপক্ষে ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০-র বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল।
নতুন বিমান হামলা ও ব্যাপক প্রাণহানির পর আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতি পুনরায় চালু করতে চাপ সৃষ্টি করছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে যেকোনো আলোচনা "গোলাগুলির মধ্যে" হবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সহিংসতা শীঘ্রই থামছে না।
সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় গাজায় বেসামরিক নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, অবিলম্বে হস্তক্ষেপ না করা হলে এটি ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সংঘাতে পরিণত হবে।
সাজিদ