প্রবাসী কর্মী।
প্রবাসী কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠাতে সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে বিগত সরকারের সহযোগীরা। সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ও শ্রমিকরা। বুধবার সকালে রামরুর এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে আর যাতে সিন্ডিকেট না হয় সে ব্যাপারে দুই দেশের সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবের পর গত দেড় বছর সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়, যা ৫ লাখের মতো। গত ১৫ বছরে তিন দফায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়। প্রতিবারই শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গঠনের বিষয়টি সামনে আসে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। অথচ একমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেটের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার ও শ্রমিক পাচারের অভিযোগ উঠে।
বায়রার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা অপকর্মটা করেছে তাদের কারণে কিন্তু মালয়েশিয়ান সরকারেরও সুনাম নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে।’
ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, ‘মালয়েশিয়াকে পারহেড এক থেকে দেড় হাজার ডলার দিতে হয়েছে। এই টাকা কি বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে? এটা কোথা থেকে গেল? এটা কি হুন্ডি হয়নি? মানি লন্ডারিং হয়নি?’
একটি রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা এই সেক্টর থেকে লুটপাট হয়েছে। কারা করেছে? ওই স্বৈরাচার সরকারের সহযোগী যারা ছিল তারা। যারা অপরাধ করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।’
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে আর যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয় এ বিষয়ে দুইদেশের সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রামরু।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর এটা। অতীতে ধুকে ধুকে এটাকে নিঃশেষ করা হয়েছে। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিশ্চিত করুন, যারা এটা করেছে সেই পথে আপনারা হাঁটবেন না।’
রিয়াদ