ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub
সুদ দিতে হবে লক্ষাধিক কোটি টাকা

অপ্রয়োজনীয় ঋণ থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ
সুদ দিতে হবে লক্ষাধিক কোটি টাকা

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুদ খাতে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ৯৩ হাজার কোটি টাকার সুদ গুনতে হবে। এ ছাড়া বিদেশী ঋণের সুদ ব্যয় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।  প্রতিবছর বিদেশী ঋণের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগিরা অর্থছাড় করেছে প্রায় ৩৬ কোটি ডলার। অন্যদিকে, একই মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ ও আসল মিলিয়ে মোট প্রায় ৩৯ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।  অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে উন্নয়ন সহযোগীরা যে পরিমাণ অর্থছাড় করেছে, বাংলাদেশ তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপ্রয়োজনীয় ঋণ থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প থেকে সরে আসার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগিদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

Google ads
Google ads
waltonbd
waltonbd
আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত

আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত

শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনার মামলা হয়নি। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে গণতদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের বিষয়ে এই তথ্য জানানো হয়। সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, এ আন্দোলনে হতাহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর আগে মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের তথ্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি।

adbilive
adbilive
নভোচারী ছাড়াই ফিরল স্টারলাইনার

নভোচারী ছাড়াই ফিরল স্টারলাইনার

নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনি উইলিয়ামকে মহাকাশে রেখেই পৃথিবীতে ফিরে এলো বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযান। শনিবার নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবার মরুভূমিতে অবতরণ করেছে এটি। এর মাধ্যমে তিন মাসের একটি পরীক্ষামূলক মিশনের সমাপ্তি ঘটলÑ যা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।  মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষে মহাকাশযান অবতরণের ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এতে দেখা যায়, স্টারলাইনার মহাকাশযান পৃথিবীতে সফলভাবে ফিরে আসে। পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রতি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪শ’ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসে। অবতরণের সময় বায়ুম-লে থাকাকালীন যানটির হিটশিল্ড চালু রাখা হয়। অবতরণের ৪৫ মিনিট আগে একে একে খোলা হয় তিনটি প্যারাশুট। গত ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। তাদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-আইএসএস। কথা ছিল আট দিনের মধ্যে কাজ সেরে পৃথিবীতে ফিরবেন তারা। তবে, এর মাঝে স্টারলাইনারে ত্রুটি ধরা পড়ায় ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। দেখা যায় থ্রাস্টার যন্ত্র কাজ করছে না মহাকাশযানের। লিক করছে হিলিয়াম গ্যাস। এ অবস্থায় পৃথিবীতে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মহাকাশচারীরা। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফেরত আনা হবে তাদের। স্টারলাইনার মহাকাশযান লম্বায় ৫ মিটার ও চওড়ায় ৪ দশমিক ৬ মিটার। অ্যাপোলো মিশনে ব্যবহৃত ক্যাপসুলের চেয়ে বেশ চওড়া মহাকাশযানটিতে সর্বোচ্চ সাতজন বসতে পারেন। এবারের মহাকাশ অভিযানে মূলত মহাকাশচারীদের নতুন পোশাকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হওয়ার আগেই ফিরতে হলো মহাকাশযানটিকে। -ওয়েবসাইট অবলম্বনে

সন্তানের মাঝেই নিজের স্বপ্ন দেখেন আলেয়া

সন্তানের মাঝেই নিজের স্বপ্ন দেখেন আলেয়া

উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের মানুষের সেবা করার স্বপ্ন ছিল আলেয়া খাতুনের। কিন্তু বাল্যবিয়ের কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। তবে থেমে যায়নি তার স্বপ্ন। তাই সন্তানদের নিয়ে স্বপ্নের পথে হাঁটছেন তিনি। এক মেয়ে বিসিএস ক্যাডার। আরেকজন পড়ছেন ডাক্তারি। নিজে ব্যবসা করেন। সব মিলিয়ে আলেয়া খাতুন লাভলী তার স্বপ্ন পূরণ করছেন। উত্তরাঞ্চলের রংপুর শহরে গণেশপুরে তার টিনসেডের একটি বাসাতে তার বসবাস। ১৯৭৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে উঠেছে তিনি। সেই সময় বিয়ে হয়ে যায় তার। স্বামী আব্দুস সামাদ কৃষি অফিসের প্রধান অফিস সহকারী। নিজের অদম্য ইচ্ছা আর স্বামীর সহযোগিতায় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকেন। পরবর্র্তীতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েন তিনি।