ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

কবিতা

ঘুম থেকে জেগে আশ্চর্য নিরাশ্রয়

মাসুদ মুস্তাফিজ

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ১৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২১:১৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ঘুম থেকে জেগে আশ্চর্য নিরাশ্রয়

ঘুম থেকে জেগে আশ্চর্য নিরাশ্রয়
মাসুদ মুস্তাফিজ

ভাষা শিখেছি  তোমার ওমনেশাগ্রস্ত শরীর থেকে আর গন্ধ বুঝেছি মনে-স্বপনে, শয়নে
শরীরটা যতো না বোঝে আমাকে আমি বুঝি গন্ধছোঁয়াপ্রাণ, রক্তনেশায় বইছে হাজারো নদী
অবিরাম ঝড়; টার্নেডো আর দমকা হাওয়া। প্রজাপতির মেঘ ভেঙে ঘুম আসে রূপগঙ্গায়-সাগরে
তুমি অতিচল্লিশ ইনিদ্রয়দোষ ঢাকিয়ে রাখো অতৃষ্ণা আর অতৃপ্তির চৌকষ সৌন্দর্যে-
তোমার আমার এন্টিবায়োটিক বহুব্রীহি জীবনের দ্যোতক তৈরি করে রূপান্তরিত জলেরমিথ

হায়রে তদ্ভব জোয়ার! কোন্ উপকূলে আশ্রয়ণ তোমার, হে রঙিন উত্তাল মনিটর-
হঠাৎ দৃশ্যকে পুরুষ বানিয়ে ফেলে পুরুষাকার শরীরে মৌন স্তন! আমার আলোচ্যরাতে
পৃথিবীর লিঙ্গটাকে তোমরা অস¦াভাবিক বারবিকিউ বানিয়ে খাচ্ছো মনের পদার্থে
লিঙ্গনের গন্তব্য থাকে-মুক্তির সিনেপ্লাজা নিষিদ্ধ দেহান্তরে গোপন রহস্যের শুন্যে-
শ্রমণ-ভ্রমণ ছাই উড়িয়ে চললো স্বর্গযাপনে, নষ্ট পোশাকের শরীরীয়শিল্প খুলে দ্যাখো
ওখানেও সৃষ্টির শিল্পি আছে-মাটির  ছেনে দেহের প্রণয়সুর্য যেমন বাঁচে জল ও বীজে!

চোখের কার্নিশ
লুৎফা শাহিন

চোখ এক ধাঁধাশীল সূর্য, সুবর্ণ আলোর ক্রমাগত দৌড় তাহার পথে
চোখহীন মানুষও  দেখতে পায়-
পবিত্র মনের চোখ অনন্তের অগ্নিকে পোড়ায়
তাই হাজার চোখের ভিতর চোখওয়ালা মানুষগুলো কাউকে দেখতে পায় না
তাই হাজার চোখের মানুষগুলো চোখেগর্ভে নিজেকে হারিয়ে ফেলে সমম্মুখে
চোখের নদীতে আমি শুদ্ধ পাপের রক্ত স্নানজলে দুর্বাশা-দুর্বার, এ খরদেহে
এই ভুলে যাওয়া হৃদয় সাগর সবই অতীত হয়ে যায়
তাকালে দু’চোখ নেশা মেলে জানি- সবই যে হারায়-


মুখ ও চোখের ক্লাশ
মীর্জা আবু হেনা কায়সার

চোখ আছে বলেইতো
মানুষের সংসারে এতো আয়োজন।
রঙিন মধ্য বয়স
পায়ে পায়ে সকালের রোধ
বাঁশপাতার ফাকে সূর্যের উঁকিঝুঁকি,
মুখের নড়াচড়ায় অস্পষ্ট
কিছু কি বলেছিলে কোনদিন
ভোরের পাতায় দুপুরের বৈরাগ্যে
বিকেলের থেমে যাওয়া পৃথিবী।
এইসব সেই দিনকার
চোখের ভাসাভাসা নড়াচড়া
চোখ সড়ালে পেছনের সেদিন
আমার চোখের ক্লাশ বড্ড কাচা
এলোমেলো সব চোখের ভিতরের
আকাশটাও।

প্যানেল

×