
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, বেলুন শুধু খেলনার জন্যই নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক মজার বৈজ্ঞানিক রহস্য? চলো, আজ আমরা রঙিন বেলুনের অদ্ভুত কিছু গুণ নিয়ে কথা বলব।
বেলুন যেভাবে ওড়ে
বেলুন ফোলানোর সময় আমরা এর ভেতরে বাতাস বা হিলিয়াম গ্যাস ঢুকাই। বাতাস ভারী হলেও হিলিয়াম গ্যাস অনেক হালকা, তাই এটি সহজেই আকাশে উড়ে যায়। ঠিক যেমন নৌকা পানিতে ভাসে, হিলিয়াম গ্যাস ভাসে বাতাসে।
বেলুনের গায়ে যদি বেশি চাপ পড়ে, তাহলে এটি ফেটে যায়। এটি হয় বেলুনের রাবার আর ভেতরের গ্যাসের চাপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে। বেলুনকে বেশি ফুলালে তার শক্তি কমে যায়, আর সামান্য খোঁচায়ই এটি বিস্ফোরিত হয়। একটি বেলুন নিয়ে এটিকে ফোলাও এবং মুখ চেপে ধর। এবার বেলুনের মুখ ছেড়ে দাও। দেখবে, এটি ছুটে চলেছে! এটি ঘটে কারণ বেলুনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস পেছন দিকে ঠেলে দেয়, আর বেলুন সামনে এগিয়ে যায়।
তোমাদের প্রিয় রঙিন বেলুন কিভাবে তৈরি হয়? বেলুনের রঙ আসে রঙিন রাবার থেকে। আর এই রঙ প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি করা হয়। কোনো বেলুন সূর্যের আলোয় রঙ বদলে ফেলতে পারে। এটি ঘটে আলোর তীব্রতা ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে কারণে।
বিজ্ঞান শেখ বেলুন দিয়ে
১. হিলিয়াম বনাম বাতাস পরীক্ষা: দুই ধরনের গ্যাস দিয়ে বেলুন ভরো। দেখো, কোনটা বেশি ওড়ে।
২. বেলুনের শব্দ : একটি বেলুন ফোলাও এবং মুখ দিয়ে হালকা বাতাস বের করো। শোঁ-শোঁ শব্দ কেন হয়, তা খেয়াল করো।
মজার তথ্য
পৃথিবীর প্রথম বেলুন তৈরি হয়েছিল প্রাকৃতিক রাবার থেকে ১৮২৪ সালে। একটি ছোট বেলুন ভাঙলেও তার শব্দ ১৫০ ডেসিবেল পর্যন্ত হতে পারে, যা জোরে বাজানো বাদ্যযন্ত্রের মতো! তাহলে বলো, বেলুন কি শুধু খেলার জিনিস, নাকি মজার এক বিজ্ঞানকোষ? তোমরা আজই বাড়িতে বেলুন নিয়ে পরীক্ষা করে দেখো। শেখার আনন্দে ভরে উঠুক তোমাদের দিন!