
কৃষ্ণপক্ষের ঘনীভূত সন্ধ্যায় তালগাছের অগ্রভাগ হতে দিনের আলো নিভে গেলে তাঁর মনের মধ্যে শঙ্কার মেঘ ওড়াউড়ি করে। তরল অন্ধকারে একটি শকুন ডানা মেলে আকাশে উড়াল দেয়। ভয়ার্ত চোখে বুড়ি চেয়ে থাকে। পাখির উড়ানি প্রত্যক্ষ করে। মনে মনে ভাবে অনেক হয়েছে, আজ আর না; কালরাত্রির আয়ু না ফুরালে ঘর হতে কিছুতেই বাইরে বেরুবে না সে। একদিকে ভূত-প্রেতের ক্রমবর্ধমান আনাগোনা অন্যদিকে ছেলে-বৌদের চোখ রাঙানি। অবশ্য পাকা তালের সমান্তরালে ছেলে-বৌদের চোখ রাঙানিকে নস্যি জ্ঞান করে সে। তার যতো ভয় ভূত-প্রেতকেন্দ্রিক। আরও কয়েক পা অগ্রসর হতেই বুড়ি হোঁচট খায়। পড়তে পড়তে কোনোরকমে নিজেকে সামলে নেয়। মাজা শক্ত করে লাঠিতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। দৃষ্টির প্রখরতার পুনরায় গাছটিকে নিরীক্ষণ করে। ঘুটঘুটে অন্ধকার নাবালক রাতটিকে যেন ঝাপটে ধরেছে। খানিক বাদেই পৃথিবীর সব কোলাহল থেমে যাবে। অঘটন যা ঘটার তার আগেই ঘটে যায়। পানির ওপর দিয়ে একটি ছায়ামূর্তি নৃত্য করতে-করতে এগিয়ে এলে চিৎকার দিয়ে ওঠে-ওরে আমার বাবারে, মারে, আল্লারে! ভূতের হাত থিন তুরা আমায় বাঁচা!
ব্যাস, ওই পর্যন্তই। কয়েক বার ঝাঁকি দিয়ে বুড়ি জ্ঞান হারায়। রান্নাঘরের পিছনে মৃতবৎ চিৎপটাঙ হয়ে পড়ে থাকে। জ্ঞানহীন। দাঁতে দাঁত আটকে আছে। কেউ একজন চাবির গোছা নিয়ে ছুটে আসে। শত চেষ্টা করেও দাঁতের দু’স্তরের মধ্যিখানে চাবি ঢোকাতে ব্যর্থ হয়। অবস্থা বেগতিক। বৈশাখের ঝড়ো হাওয়ার মতো বহুমুখী গতিতে খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ছেলে-বৌ নাতি-নাতনিদের চোখে-মুখে শঙ্কার কালো মেঘ। স্বজনদের মুখে মেঘের আভা।
প্রথম পর্বের কান্নাকাটি শেষে কর্মপন্থা স্থির হয়। কবিরাজ আসে। বুড়িকে কেন্দ্র করে হাতে থাকা ত্রিশূল দিয়ে বৃত্ত রচনা করে। বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করা সর্বসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ। নিষেধ অমান্য করলে যে কেউ বিপদে পড়তে পারে। এমনও হতে পারে বুড়িকে আঁচড় করা জিন অন্যকে আক্রমণ করছে। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে একজন আরেকজনের পানে তাকায়। পড়শীদের যুবতী মেয়ে-বউরা প্রাণভয়ে সরে যায়। দুষ্ট জিনরা নাকি যুবতী মেয়েদের ভীষণ পছন্দ করে। কিন্তু কেউ একজন ফিসফাস করে জানায়- ভয় নেই। একদম ভয় পাবেন না। তালু বুড়ির কাছে যিনি আছেন তিনি দুষ্ট হলেও মুরব্বি; মুরব্বি জিন যুবতীদের ভয় দেখানো ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আলখাল্লা পরিহিত কবিরাজ মশায় ক্রুদ্ধ দৃষ্টি বক্তার পানে তাকায়-
উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে কবিরাজ বলে- ভাই-সগল, বাপ-সগল কারো মাজায় গাছ-গাছড়া কিঙবা হাড়-গোড় থাকলি দয়া করি ফেলি দেও। তুমরা সাহায্য না করলি রুগী খাড়া করতি সুমায় লাগবেনে। আর মা-সগলগের কাছে অনুরোধ, তুমরা সব চুল ছাড়ি দেও। পারলি আল্লা-বিল্লা করো। না হয় যে যার বাড়ি চলি যাও।
অনুরোধ সত্ত্বেও কেউ এক পা নড়তে রাজি নয়। অসীম কৌতূহলে তন্ত্রসাধন প্রত্যক্ষ করে। বুড়ির পরিণতির কথা ভেবে ব্যথিত হয়। ব্যথাতুর দৃষ্টিতে মুখের পানে চেয়ে থাকে। না জানি তার ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে! কেউ-কেউ নিয়তির ওপর দায় চাপালেও কবিরাজের মুখে ভিন্ন কথা- লক্ষণ ভালো না। এরাম কাল সন্ধ্যাবেলা তালতলায় যাওয়া ঠিক হয়নি। এই সুমায় উনারা হাওয়া খাতি বের হয়। সামনে পড়লি মহাবিপদ। জান নি ফিরতে দেয় না।
এ বিবেচনায় বুড়ি ভাগ্যবতী। এখন অব্দি শ^াস-প্রশ^াস চলমান। কিন্তু এভাবে আর কতক্ষণ! অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্বজনরা হতাশায় নুয়ে পড়ে। কেউ কেউ নিশব্দে কাঁদে। শেষ পর্যন্ত পুকুর পাড়ের ওই তালগাছটিই কী বুড়ির জীবনের কাল হবে! ছেলে-মেয়েরা কতবার তাল খুঁটতে নিষেধ করেছে। কে শোনে কার কথা! বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটি কিছুতেই তালের লোভ সংবরণ করতে পারে না। কী দিন কী রাত, তাল পড়ার শব্দ শুনলেই বুড়ি লাঠি হাতে গাছের নিচে ছুঁটে যায়। গাছটির ওপর তার একচ্ছত্র আধিপত্য। অন্য কারও তাল খুঁটার উপায় নেই। ভয়ে প্রতিবেশীদের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত গাছের আশপাশে ভিড়তে পারে না।
কবিরাজ মশায় তালগাছের পানে তাকিয়ে ম্লান হাসে। ভাবখানা এমন যে, জি¦নের সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। বুড়ির বামহাতের একটা আঙুল খাঁমচে ধরে বেচারা দাঁত মুখ খিটমিট করে- শালা জিন! বজ্জাত কুথাকার! মুরুব্বি গো লগে তামশা! যা কইতাছি যা। তা না হলি কপালে বেমত্তি আছে। আমার হাত থিন কেউ তোকে বাঁচাতি পারবে নান।
বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে। মানুষ যা পারে তা আসলে তদ্বির। বুড়ির জ্ঞান ফেরাতে চেষ্টা-তদ্বিরের কমতি নেই। রামগোয়াড়ি, হলুদ গন্ধন, ঝালগন্ধনসহ ইতোমধ্যে নানাবিধ পর্ব সমাপ্ত করেছে। অবশেষে কবিরাজ তার ঝোলার ভিতর হতে চন্ডালের মেয়ের হাড় বের করে আনে। হাড়ের প্রতি ইঙ্গিত করে জানায়- ‘ভাইসব, এ যেনতেন হাড় না। ঘোর অমাবস্যায় হাড় জোগাড় করতি আমি নিজি শ্মশানে গিছালাম। ভাগ্য ভালো প্রাণ নি ফিরতি পারছালাম। আপনাগের দুআ সঙ্গে না থাকলি ওকেনেই মরি পড়ি থাকতাম।’
হাড়তন্ত্রে যখন কাজ না হয় তখন ভিন্ন পথে অগ্রসর হয়। দুষ্ট জিনকে উদ্দেশ্য করে বলে- বাবা জিন, তুমার চরণে সালাম। অধমকে দয়া করো। দয়া পরবেশ হয়ি রুগি ছাড়ি জাগার মাল জাগায় চলি যাও। আমার উস্তাদের কসম, জলদি সরি যাও। কী চাও বলো! তুমার নামে এক হাজার এক টাকা শ্রাদ্ধ করবো- এবার খুশি তো! যাও বাড়ি যাও।
মুরব্বি জিন তথাপি খুশি হয় না। নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় না। বাড়ি বিষয়ে দর্শনার্থীর অসীম কৌতূহল- আচ্ছা বাপজি, জিনের বাড়ি কোথায়! উনারা থাকেন কোথায়! উনাদের খাবার-দাবারই বা কী!
কবিরাজ মশায় কুরআন-হাদিসের পাঠ অনুসরণ করেন। হাদিসে বর্ণিত, ‘জিন তিন প্রকার। এক প্রকারের পাখা আছে যা দিয়ে তারা আকাশে উড়তে পারে। এক প্রকার দেখতে সাপ ও কুকুরের মতো। আরেক প্রকার আছে যারা বিশ্রামের জন্য থামে এবং আবার যাত্রা শুরু করে।’ মানুষসহ অন্য প্রাণীরা যেমন খাওয়া-দাওয়া করে তদ্রুপ জিনেরাও খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করে থাকে। পরিত্যক্ত বসতবাড়ি এবং নির্জন স্থানে তারা বসবাস করতে পছন্দ করে। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, ‘হাড় এবং গোবর জিনদের খাবার। নসীবাঈন শহরের জিনদের একটি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। কত বিনয়ী ছিল তারা! তারা আমার কাছে মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে জানতে চায়। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে তারা এমন কোনো হাড় কিংবা গোবর অতিক্রম করবে না যা তাদের জন্য খাবার না হয়ে যাবে।’ (বুখারি, ৩৫৭১)
কবিরাজের প্রস্তাবিত উৎকোচ গ্রহণের অনিহা উপস্থিত মানুষদের লজ্জায় ফেলে দেয়। কবিরাজ নিজেও লজ্জিত। লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে শেষ অস্ত্র ব্যবহারে উদ্যত হয়Ñ বুজলেন কী না ভাইসব, চোদনের চাইতি বড় কুনু অষুধ নি! একুন আমি কুঞ্চিবান কোরবু। দেখি শালা, কেরাম করি থাকে! ও আমার লগে গাদ্দারি! দেখাচ্ছি মজা।
মজা দেখতে দর্শকদের আপত্তি না থাকলেও বুড়ির স্বজনদের ঘোর আপত্তি। কলেজ পড়ুয়া নাতি হারুন-অর-রশিদ প্রতিবাদ করে। বাঁধা দেয়। ভূত-প্রেতে বিশ^াস নেই তার। বরং এই মুহুর্তে কঞ্চিবান দিলে দাদির মৃত্যু অনিবার্য। কিংবা মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষকে কেমন করেই বা কঞ্চি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করা সম্ভব! কেউ কেউ আইনের কথা বলে। এমন কিছু ঘটলে কবিরাজ মশায় মানবতাবিরোধী অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে। আত্মসম্মানে টান ধরলেও যুক্তিতর্কে লোকটি কুলিয়ে উঠতে পারে না। অপমানের ক্ষতচিহ্ন বুকে নিয়ে রণে ভঙ্গ দেয়। আশাহত হয় উপস্থিত মানুষগুলো। যে যার মতো কেটে পড়ে।
॥ দুই ॥
আঁধারে ক্ষয়ে যায় আঁধার, দহনে দহন, বিলাপে বিলাপ, ক্ষণে ক্ষণ- অবশেষে চোখ মেলে তাকায়, বুড়ি। চোখেমুখে রাজ্যের কাতরতা। স্বজনদের মুখে বোবা কান্না আর অভিমান। মান ভাঙাতে অস্পষ্ট স্বরে বলে- রাগ করিছিস, বাপ!
আর রাগ, আমাগের রাগের কুনু দাম আছে নাকি! কতবার বুলি তাল খুঁটতি যাওয়ার দরকার নি। কিডা শোনে কার কথা! তাই ভাবছি, কাল সকালে গাছটা কাটি ফেলবু।
বুড়ি আহত হয়। গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করে। গাছটি নাকি তার (এরপর পৃষ্ঠা ১১)
প্রাণের সখি। সময়-অসময়ে কাছে না গেলে মনের মধ্যে আনচান করে। কোনো কিছু ভালো লাগে না। তাছাড়া আজকের ব্যাপারে তার কোনো দোষ নেই। যত দোষ ভূতের। অবশ্য বুড়িও কম যাইনি। ভূতটাকে আচ্ছা করে প্যাদানি দিয়েছে! ভাগ্যিস নাতি হারুন সঙ্গে ছিল না; তা না হলে খুন-খারাবি পর্যন্ত হয়ে যেতো। ঝেঁটিয়ে ভূতটিকে এলাকাছাড়া করতো। আফসোস।
তালগাছের নিচ থেকে অস্ফুষ্ট আওয়াজ ভেসে আসে। বুড়ি জড়-সড় হয়ে বিছানার উপর উঠে বসে। নতুন করে শরীরে কাঁপুনি ধরে। মগ্নতায় শব্দের উৎসস্থল আন্দাজ করতে সচেষ্ট। আনমনে মাথা নাড়ে। ভাবলেশহীন নয়নে আশপাশে তাকায়। ভূত কী এখনো আশপাশেই ওঁৎ পেতে বসে আছে! অসম্ভব কী! কৃঞ্চপক্ষের রাতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। রাতটি যেন তাদের চন্দ্রমাসিক উৎসব! মাঝে-মাঝে নিশাচর পাখিদের পাখা ঝাপটানি শুনতে পায়। ঝিঁ-ঝিঁ পোকার অবিশ্রান্ত গুন-গুনানি। অন্ধকার আকাশে উল্কাপাত। অপার্থিব আবহ। কান্নার সুর যেন ক্রমশ নিকটবর্তী হয়। ভয়-ডরের তোয়াক্কা না করে হারিকেন হাতে হারুন-অর-রশিদ উঠানে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু তালু বুড়ি উতলা হয়ে ওঠে। বাঁশের খুঁটি ধরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্ট করেও ব্যর্থ হয়। নাতিকে উদ্দেশ করে আহাজারি করে- ওই হারামি, যাসনি কুথাও! জীবনডা হারাবি নাকি! উরা তোক আস্ত রাখপেনানে। শিগ্রি ঘরে আয়। মার ছেলি মার বুকি ফিরি আয়। তা না হলি উরা তোর রক্ত চুষি খাবেনে। বুকির ওপর চড়ি নেত্য করবেনে!
হারুন বাধা মানে না। আপত্তি অগ্রাহ্য করে ধীর পায়ে সম্মুখে এগোয়। গভীরভাবে সবকিছু নিরীক্ষণ করে। কিন্তু জলের ধারে হামাগুড়ি দিয়ে বসে আছে কে! ভূত-প্রেত নয় তো! শরীরের লোমসমূহ কাঁটা দিয়ে ওঠে। যেন শীতল রক্তের প্রস্রবণ বয়ে যায়। গোঙানির উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। আরো খানিক বাদে বুঝতে পারে, জলের ধারে পড়ে থাকা ছায়ামূর্তি আসলে ভূত-প্রেত নয়- উত্তরপাড়ার মতির দাদি!
দাদি তুমি, এতো রাতি তুমি একেনে কী কোরছু!
বুড়ি ফুঁপিয়ে ওঠে। ঠোঁট বিচড়িয়ে কাঁদে- আমাক তুই বাঁচা, ভাই। পাতালপুরী থিকি উদ্ধার কর। জানডা আগে বাঁচুক।
কিন্তু তুমার এ অবস্থা কে দাদি! কেরাম করি কী ঘটলু!
হারুনের হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরে বুড়ি তার দুর্দশা বয়ান করে- আর কইসনি ভাই, সব আমার কপালের ফের। তা না হলি সাতসন্ধিবেলা পুকুরঘাটে ডুব দিতি আসবু ক্যা! স্নান করতি করতি দেখি একটা পেত্নি চুল ছাড়ি দিয়ে আমার দিকি ছাঁট আসছে। ওরে ভাই, কী বজ্জাত পেত্নিরে ভাই। খিল-খিল করি হাসে আর নেত্য করে। হাতে থাকা লাঠি দিয়ি গুতু মারে খালি। আল্লা না বাঁচালি পেত্নি মাগি আজ আমাক জানে মারি ফেলতু।
হারুনের মুখে হঠাৎই হাসির চিহ্ন। মুখ টিপে হাসে সে। ভুল, সবকিছু ভুল। তালু বুড়ি যাকে ভূত হিসেবে চিহ্নিত করেছে তিনি যেমন ভূত না, তেমনিভাবে মতির দাদি যাকে পেত্নিজ্ঞান করেছে তিনিও পেত্নি নন। তালগাছসংলগ্ন পুকুরে স্নানরত মতির দাদির মাথাটিকে পরিপক্ব তাল ভেবে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে যে পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়, তাতে সাধারণ একটি রাত বিশেষ রাত্রির মর্যাদায় আলোচিত হয়।
লেখক : কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক- জয়ত্রি।